সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোচার চপ, দইবড়া দিয়ে শুরু। এরপর একে একে রাজমা গলৌটি, কড়াই সবজি, মাশরুমের বড়া, বেগুন ভাজা, ধোঁকার ডালনা। হরেক পদে পাত সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিষ্টির আয়োজনও কম নেই – ছানার মালপোয়া, গুড়ের সন্দেশ, মাখা সন্দেশ। কিন্তু একটিও আমিষ পদ নেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে এই নিয়েই আপাতত জোর চর্চা বিভিন্ন মহলে। আর পাঁচজন বাঙালির মতো হাসিনাও একেবারে মাছ-ভাত প্রিয় মানুষ। তবু তাঁকে মধ্যাহ্নভোজ খাওয়াতে গিয়ে একটিও আমিষ পদ রাখেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজে ঘোরতর নিরামিষাশী বলেই কি? এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে দিল্লির অন্দরে।
[আরও পড়ুন: পদ্মাপারের পুজোয় থিমের রমরমা, মণ্ডপ দেখতে ভিড় আট থেকে আশির]
দিল্লি রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় পেঁয়াজের ঝাঁজ বহুগুণ বেড়েছে বাংলাদেশে। দিল্লিতে নেমেই শেখ হাসিনা হেসে বলেছিলেন, রাঁধুনিদের আপাতত পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না করতে বলেছেন তিনি। তারপর মধ্যাহ্নভোজেও নিরামিষ খাবার। তবে মোদির সঙ্গে বৈঠকে পেঁয়াজ নিয়ে উদ্বেগের কথা চেপে রাখেননি হাসিনা। দিল্লির তরফে তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়, রপ্তানি বন্ধের এই নির্দেশ সাময়িক। ঘরোয়া বাজারে দাম একটু কমলেই ফের বিদেশে পেঁয়াজ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে। তার আগে হাসিনার মুখ চেয়ে এদিন ভারত সরকারের তরফে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারির আগে বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য পেঁয়াজের যে ট্রাকগুলি রওনা হয়েছিল, সেগুলিকে পড়শি দেশে সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে এখনই ৬ হাজার টন পেঁয়াজ পৌঁছে যাবে বাংলাদেশে। স্বভাবতই সেখানে দাম কিছুটা কমবে।
দুর্গোৎসবের মরশুমে বাংলাদেশ থেকে উপহার হিসেবে এদেশে পদ্মার ইলিশ পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। তৃতীয় দফায় আরও ৪৫ টন পদ্মার ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শুল্ক ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০টি ট্রাকে করে এ ইলিশ রপ্তানি করা হয়। এ নিয়ে ১২৬ টন ইলিশ রপ্তানি করা হল ভারতে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বাকি ৩৭৪ টন ইলিশ আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানি করা হবে। তারই বদলে ভারতের তরফেও পালটা সৌজন্য দেখানো হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এবছর দুর্গাপুজো বেড়েছে ৪৮১টি, খুশি সংখ্যালঘু হিন্দুরা]
The post নিরামিষ পদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ণ মোদির, হাসাহাসি রাজনৈতিক মহলে appeared first on Sangbad Pratidin.