জ্যোতির্ময় কর্মকার: শুধু ধরা-বাঁধা উন্নয়ন নয়৷ দেশের সামগ্রিক খোলনলচে বদলে দেওয়াই উদ্দেশ্য৷ ভারতের ভবিষ্যৎ রূপরেখা সম্পর্কে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সাফ জানিয়ে দিলেন, গতানুগতিক পথে একের পর এক উন্নয়নের কাজ হবে, সে সব আর চলবে না৷ যুগের সঙ্গে তাল রাখতে রাতারাতি দেশের ভোল পাল্টে ফেলতে হবে৷ আর এ কাজের জন্য ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রশাসনিক রীতিনীতিও আর চলবে না৷ বরং নতুন আইন সংশোধন করে অপ্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত বাধা সরিয়ে গতানুগতিক উন্নয়নের বাইরে গিয়ে কাজ করাই তাঁর লক্ষ্য৷
শুক্রবার নীতি আয়োগ আয়োজিত ‘ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া’ শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মোদি৷ ২০১৪ সালে দেশের ক্ষমতায় আসার পর চিরাচরিত পরিকল্পনা কমিশনকে সরিয়ে নীতি আয়োগ প্রতিষ্ঠা মোদি সরকারের প্রথম বৃহত্তর পরিবর্তন৷ সেই নীতি আয়োগেরই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়া কখনই প্রশাসনের কাজকর্মে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়৷ উনিশ শতকের নিয়মকানুন দিয়ে একবিংশ শতকে কাজ চলবে না৷” বিরোধীদের যাবতীয় সমালোচনার তোয়াক্কা না করে একতরফাভাবেই নীতি আয়োগ প্রতিষ্ঠার সাহসী পদক্ষেপ করেছিলেন মোদি৷ সাম্প্রতিক সময়ে রেল বাজেট তুলে দিয়ে কেন্দ্রীয় বাজেটের মধ্যেই অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তও নিতে চলেছে তাঁর সরকার৷
এমনকী, বাজেট পেশের সময়ও এগিয়ে আনার আলাপ-আলোচনা চলছে৷ নরেন্দ্র মোদির সরকারের এই প্রতিটি পদক্ষেপই স্বাধীনতার পর থেকে সরকার পরিচালনার প্রচলিত কর্মপদ্ধতিকেই চিরতরে বদলে দিচ্ছে বলে ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের৷ এই প্রেক্ষিতে মোদির এদিনের বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন তাঁরা৷
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পরিকাঠামোগত পরিবর্তন আনার জন্য আলোচনা চলছে৷ ব্যাঙ্ককর্মী, পুলিশ অফিসার, সরকারি সচিব-সহ সবক্ষেত্রের মানুষের থেকেই মতামত নেওয়া হচ্ছে এবং ইতিবাচক প্রস্তাব প্রয়োগ করার চেষ্টা চলছে৷”
The post ছক ভাঙা পথে দ্রুত উন্নয়নই লক্ষ্য মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.