সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক আর মহম্মদ আজহারউদ্দিন যেন সমার্থক। ম্যাচ গড়াপেটার মতো কলঙ্কের নাগপাশ ছাড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসনে প্রত্যাবর্তন করেছেন আজহার। কিন্তু সেখানেও ফের দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হলেন তিনি। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এবার আজহারকে তলব করল ইডি।
আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি থাকাকালীন ২০ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন তিনি। হায়দরাবাদে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জেনারেটর, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কেনার নামে ওই টাকা সরানো হয়েছে। এছাড়াও এইচসিএ’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে আজহারের বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অন্য সদস্যরা আজহারের বিরুদ্ধে বিসিসিআইয়ে অভিযোগও জানান।
ইডি এই প্রথমবার আজহারকে তলব করল। বৃহস্পতিবারই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে হায়দরাবাদ পুলিশেও আজহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই একই অভিযোগ দায়ের হয়ে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসসিয়েশনের আরও চার কর্তার বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই বিপাকে আজহার। যদিও আজহার ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাঁকে সমন করা হয়েছে।
গড়াপেটার মতো কলঙ্কের নাগপাশে জড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে। গড়াপেটার অভিযোগ প্রমাণ হয়ে যাওয়ার পর আজহারকে আজীবন নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। যার পর ক্রিকেটকিট চিরতরে তুলে রাখতে হয় সাতচল্লিশ টেস্টে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ককে। ৯৯ টেস্ট, ৩৩৪টি ওয়ান ডে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আজহার ক্রিকেটকে বিদায় জানান। যদিও উনিশ বছর পর ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর।