স্টাফ রিপোর্টার: সেমিফাইনালের প্রথম লেগের হার নিয়ে আর খুব বেশি মাথা ঘামাতে নারাজ মোহনবাগান (Mohun Bagan) কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। বরং সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ওড়িশা এফসি ম্যাচটি দুরন্তভাবে জিতে ফাইনালে যাওয়ার দিকেই ফোকাস মোহনবাগান কোচের।
রবিবার যুবভারতীতে সেই ম্যাচ। আইএসএলের অন্যতম ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচও মোহনবাগানের কাছে। ঠিক এমন পরিস্থতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল কিছুদিন আগেই, লিগ শিল্ড জয়ের সময়। শেষ পর্যন্ত সেই পরীক্ষায় লেটার মার্কস পেয়ে পাস করেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোসরা।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ৩৬ দিন আগে ছয় ছক্কার মালিক যুবরাজ পেলেন বড় দায়িত্ব]
এবারও ঠিক একইরকম পরিস্থিতি বলা যায়। ঘরের মাঠে এই ম্যাচে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সমর্থকদের কাছে গ্যালারি ভর্তির আবেদন রাখা হয়েছে। মুম্বই এফসি ম্যাচেও ষাট হাজার দর্শক এসে জেসন কামিন্সদের জন্য গলা ফাটিয়েছে। অবশ্য সেই ম্যাচে কামিন্সরা হতাশ করেননি তাঁদের।
এবার আরও একটা কঠিন ম্যাচে এভাবেই সমর্থকদের পাশে চাইছেন দিমিত্রি পেত্রাতোসরা। সেকথা অবশ্য ভালো করেই জানেন প্রতিপক্ষ কোচ সার্জিও লোবেরা (Sergio Lobera)। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মনবীর সিংদের ২-১ গোলে হারালেও ওড়িশা ছাড়ার আগে শুক্রবার রয় কৃষ্ণদের কোচ লোবেরা বলছেন, “যুবভারতীতে খেলা মোটেই সহজ নয়। বিশেষ করে মোহনবাগানের মতো বড় দলের বিরুদ্ধে।”
ওড়িশা কোচ নিজেও মোহনবাগান-মুম্বই ম্যাচের অবস্থাটা জানেন। দেখেছেন কীভাবে মোহনবাগান সমর্থকরা সেদিন গর্জন করেছিলেন। যদিও এমন পরিস্থিতিতে লোবেরা ফুটবলারদের উজ্জীবিত করছেন এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের জেসন কামিন্সদের বিরুদ্ধে ২-৫ ফলাফলের ম্যাচটিকে উদাহরণ স্বরূপ টেনে এনে। ওড়িশা কোচ এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “এই মাঠেই আমরা এএফসি কাপের ম্যাচে ওদের হারিয়েছি। রয় কৃষ্ণাদের চারিত্রিক দৃঢ়তা সেই ম্যাচে প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল। আমি আজও আত্মবিশ্বাসী এই ম্যাচে ভালো ফল করে ফাইনালে যাওয়ার বিষয়ে।”
যদিও সেই মোহনবাগান আর এখনকার মোহনবাগানের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত। বিশেষ করে যেভাবে আইএসএলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দিমিত্রি পেত্রাতোসরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তাতে আত্মবিশ্বাস যথেষ্টই তুঙ্গে। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচেও শুরুতেই মনবীর গোল তুলে নিলেও হেক্টর ইউয়েস্তারা গোল ধরে রাখতে পারেন নি বলে ম্যাচটি হারতে হয়েছিল ২-১ গোলে। তবে এমন কঠিন পরিস্থতি থেকেও জয় তুলে আনতেই মরিয়া মোহনবাগান। তার উপর অসুস্থতা কাটিয়ে ডাগ আউটে ফিরে এসেছেন মোহনবাগান কোচ হাবাসও। ফলে সবুজ-মেরুন শিবির ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
তবে কলকাতার এই প্রচন্ড গরম ভাবাচ্ছে মোহনবাগান শিবিরকে। এদিন অনুশীলনে একাধিকবার ওয়াটার ব্রেক দিতে দেখা গেল হাবাসকে (Antonio Lopez Habas)। পরিকল্পনা সাজাতেই শুক্রবার ক্লোজ ডোর অনুশীলন রেখেছিলেন হাবাস। আপাতত চোটমুক্ত গোটা দলই অনুশীলন করল শুক্রবার। যদিও রবিবার ম্যাচে কার্ড সমস্যার জন্য থাকছেন না আর্মান্দো সাদিকু।