সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: পুরুলিয়ার পর এবার ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে মাওবাদী পোস্টার পড়ল ঝাড়গ্রামে।ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। ইতিমধ্যেই পোস্টারগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভোটের দিনঘোষণা হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসের শেষেই প্রথম দফার ভোট। ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অর্থাৎ এ বঙ্গে পুরোদস্তুর ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানা থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে কুচলাপাহাড়ি এবং খড়পাল গ্রামের একটি রাস্তায় একাধিক পোস্টার পড়ে থাকতে দেখা যায়। সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে ওই পোস্টারগুলির কোনওটিতে লেখা ছিল , “টিএমসি দূর হাটাও, বিজেপি হাত গোটাও।” কোনওটায় আবার লেখা, “জঙ্গলমহলে ভোট বয়কট করুন।” যে এলাকা থেকে এই পোস্টারগুলি মিলেছে বাঁকুড়া জেলার সীমানা থেকে তার দূরত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ২ জেলার বাসিন্দাদের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, শুধু বেলপাহাড়ি নয়, ঝাড়গ্রামের বিনপুরের মালাবতি, চুয়ানবেড়া-সহ বিভিন্ন গ্রামেও এদিন মিলেছে মাওবাদী পোস্টার।
[আরও পড়ুন: ভোট ঘোষণা হতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে বড়সড় রদবদল কমিশনের]
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হচ্ছিল পুরুলিয়া থেকে। দিন দশেক আগেও পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়তলির ঝালদার খামার এলাকা থেকে বেশ কিছু পোস্টার উদ্ধার হয়। তাতে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি একদা মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রমকে গ্রেপ্তারের পিছনে যে প্রাক্তন মাওবাদী তথা বর্তমানে স্পেশ্যাল হোমগার্ড পদে কর্মরত পুলিশকর্মীর ভূমিকা ছিল, তাঁকেও নিশানা করে মাওবাদীরা। সেইসঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে পেট্রল-ডিজেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং কৃষি আইন বাতিল করার দাবিও তুলেছে তারা। তবে এই পোস্টারগুলি মাওবাদীদেরই কিনা, তা খতিয়ে দেখেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।