বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: একপাল হনুমান। তাদের জ্বালায় অতিষ্ঠ নদিয়ার গাংনাপুরের শিরিষনগর এলাকার মানুষজন। গত ১৫ দিনে অন্তত তিনজন হনুমানের কামড়ে জখম হয়েছেন। বাড়ির বাইরে পা রাখতেই ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। আতঙ্কে কাটছে দিন। ধরতেই হবে হনুমানকে। এই দাবিতে পথ অবরোধ করেন এলাকার মানুষজন। পরে বনদপ্তরের উদ্যোগে এক উৎপাতকারী ধরা পড়ে। কিন্তু বাকি হনুমানদের এখনও ধরা যায়নি।
হনুমানের উৎপাতে দিনের বেলায় কার্যত বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেরোলেও হাতে লাঠি নিয়ে চলাফেরা করছেন। অভিযোগ, মুখপোড়া হনুমানদের ধরার জন্য দিন পাঁচেক আগেই বনদপ্তরকে খবর দিয়েছিলেন এলাকার লোকজন। কিন্তু বনদপ্তরের লোকজনের দেখা না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে থানার কাছে চৌরাস্তার মোড়ে রাস্তার ওপরে বেঞ্চ পেতে হনুমানদের ধরার দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করেন এলাকার লোকজন। তাঁদের দাবি ছিল, হনুমান না ধরা পর্যন্ত তারা অবরোধ চালিয়ে যাবেন।
[আরও পড়ুন: রাখে হরি মারে কে! সাঁতার না জেনেও টানা পাঁচ ঘণ্টা মাতলার জলে ভেসে রইলেন প্রৌঢ়া]
যদিও এদিন সকাল থেকেই হনুমানের পাল ধরার জন্য নেমে পড়েছিলেন বনদপ্তরের লোকজন। সেই খবর পাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই পথ অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। বনদপ্তরের লোকজন একটি হনুমানকে এদিন পাকড়াও করে খাঁচা বন্দি করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত ১৫ দিন ধরে চলে আসছে হনুমানের দৌরাত্ম্য। একপাল হনুমান কখনও গাছের ডালে, কখনও বা রাস্তার ধারে বসে থাকছে। যখন-তখন নেমে এসে কামড় বসিয়ে দিচ্ছে।
অভিযোগ, সোমবার বিকেলেও একজন পথচারীকে কামড়ে দিয়েছে একটি হনুমান। অথচ বনদপ্তরের লোকজনের হনুমান ধরার ব্যাপারে কোন হেলদোলই ছিল না। শেষ পর্যন্ত একটি হনুমান ধরা পড়েছে। বাকি হনুমানদের না ধরা পর্যন্ত তাঁরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না। এদিকে, গ্রামের বেশিরভাগ লোকজন বাড়ি থেকে না বেরোনোয় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাঁদের বক্তব্য, বাড়ি থেকে বেরিয়ে মানুষ যদি বাজারে কেনাকাটা করতে না আসেন, তাহলে তাঁদের বিক্রিবাটা হবে কী করে? হনুমানের আতঙ্ক কাটিয়ে গ্রামের মানুষের কবে ফিরবে ভরসা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।