গৌতম ব্রহ্ম: গুজরাটে (Gujarat) মোরবির কেবল ব্রিজ দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক নবান্ন (Nabanna)। এ রাজ্যের ব্রিজগুলির অবস্থা নিয়ে তড়িঘড়ি রিপোর্ট চাইল রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং-সহ কয়েকটি জেলায় ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। সেগুলির কী অবস্থা, তা নিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি জেলার পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের।
রাজ্যে যে সব উড়ালপুল রয়েছে, সেগুলির বর্তমান অবস্থা নিয়েও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় (Pulak Roy)। এই শহরও একাধিক সেতু বিপর্যয়ের সাক্ষী। পোস্তা, মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে প্রাণহানি ঘটেছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে শহরের বিভিন্ন উড়ালপুলের পরিকাঠামো নিয়ে যথাসময়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলে। একাধিক পুরনো উড়ালপুলের সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু জেলা স্তরের উড়ালপুলগুলিতে সেভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয় কি না, সেসবের বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল পূর্ত দপ্তর।
[আরও পড়ুন: ফের ‘সিএএ’ খোঁচা শান্তনু ঠাকুরের, মতুয়া ভোটব্যাংক নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি]
রবিবার রাতে ভয়ংকর দুর্ঘটনার ঘটে গিয়েছে গুজরাটে। মোরবি জেলার মচ্ছু নদীর উপর কেবল ব্রিজ (Cabel Bridge) ভেঙে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক। দুর্ঘটনার সময় প্রায় ৫০০ মানুষ ছিলেন সেতুটিতে। অনেকেই নদীর জলে তলিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। মেরামতির চার দিনের মধ্যেই এই ব্রিজ দুর্ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠে গিয়েছে নানা মহলে। এই মুহূর্তে গুজরাট সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার মধ্যেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে দাবি, অত্যাধিক ওজন নিতে না পারার কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। উঠেছে ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি, গাফিলতি-সহ একাধিক প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলায় ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের]
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর তরজা চলছে। তবে তার মধ্যেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে নবান্ন। মোরবির মতো এ রাজ্যের ঝুলন্ত সেতুগুলির পরিকাঠামো কতটা যথাযথ রয়েছে, ব্রিজগুলির বর্তমান অবস্থা কেমন – সমস্ত জানতে চেয়ে রিপোর্ট দিতে বললেন পূর্তমন্ত্রী।