ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus) ও নিউমোনিয়ার দাপটের মাঝে রাজ্যে জ্বর-সর্দিতে মৃত্যু হল আরও ৩ শিশুর। তাদের একজন বারাসত ও অপরজন গোবরডাঙার বাসিন্দা। স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
গত কয়েকদিন ধরে অ্যাডিনো ভাইরাস দাপট দেখাচ্ছে। সঙ্গী নিউমোনিয়া। একের পর এক জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সেই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। এই জ্বর-শ্বাসকষ্টেই মৃত্যু হল আরও ২ শিশুর। তাদের মধ্যে একজন বারাসতের ময়নার বাসিন্দা। কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল সে। ভরতি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। পরবর্তীতে বিসি রায় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালে মৃত্যু হল খুদের। একই উপসর্গ নিয়ে ভরতি হওয়া গোবরডাঙার এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে ক্যানিংয়ের এক শিশুর। একের পর শিশু মৃত্যু আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্যবাসীর।
[আরও পড়ুন: বসন্ত বন্দনাতেও অশান্তি! আবির খেলায় ছাত্রকে ‘মার’ নিরাপত্তারক্ষীর, কাঠগড়ায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য]
গতকালই সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যবাসীকে অ্যাডিনো নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিনে মৃত শিশুদের মধ্যে মাত্র ২ জনের শরীরে অ্যাডিনো আক্রান্ত ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তবে প্রত্যেককে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের বাড়ি থেকে বের না করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শের পরও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না আমজনতার।