সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতদিন ধরে অব্যাহত ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষ। মুহুমুর্হু রকেট হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এদিকে ইজরায়েলের সুরক্ষার কঠিন বর্ম ভাঙতে মরিয়া প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী। তারাও রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আর সপ্তাহব্যাপী এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে ২০০ জন সাধারণ মানুষের। তবু সংঘর্ষ থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই।
গাজা লক্ষ্য করে রবিবার থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত কয়েক মিনিটের ব্যবধানে কয়েক ডজন রকেট ছোঁড়ে ইজরায়েল। রবিবার ভোর থেকেই শুরু হয় বোমাবর্ষণ। গাজা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে আজকের হামলায় অন্তত ১০ জন মহিলা ও ৮ জন শিশু-সহ মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়। হামলার পরে গোটা এলাকা কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছ। উদ্ধারকারী দলের একজনকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে চিৎকা্র করতে দেখা যায়, ‘‘কেউ আছেন? আমাকে শুনতে পাচ্ছেন?’’ কিন্তু তিনি কারও সাড়াই পাচ্ছিলেন না। পরে একজন আহত ব্যক্তিকে সেখান থেকে বের করতে দেখা যায় তাঁকে। এই ছবিই বুঝিয়ে দেয় আক্রমণের ভয়াবহতা কতটা ছিল।
[আরও পড়ুন: কর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত, বোর্ড থেকে ইস্তফা মাইক্রোসফ্ট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের]
পশ্চিম গাজার এক বাসিন্দা গাজান মানি কাজাত ভয়াবহতার বর্ণনা দিতে গিয়ে শিউড়ে উঠেছেন। রবিবার রাত ২ টো নাগাদ একের পর এক রকেট আছড়ে পড়ছিল গাজা ভূখণ্ডে। গোটা এলাকা যেন ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠেছে। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে তাঁর আবেদন, “ওঁরা বলছে ওঁরা জঙ্গিদের উপর হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু আক্রান্ত হচ্ছি আমরা। আমরা তো সেনা বা জঙ্গি নয়। দেশের সাধারণ মানুষ।”
সরকারি হিসেব বলছে, ইজরায়েলি রকেট হানায় গাজায় ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫৮ জন শিশু। জখম হয়েছেন অন্তত ১২০০ জন। এদিকে হামাসের পালটা হামলায় প্যালেস্তাইনে ১ শিশু-সহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ২৮২ জন।