রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মানসিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেয়েকে মাথা কেটে খুন! তীব্র চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরির বিদ্যাপীঠ মোড় বাজার এলাকায়। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মাও মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে খুনের (Murder) মোটিভ নিয়ে ধন্দে পুলিশ। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। মাত্র ৯ বছরের মেয়ের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকের ছায়া এলাকায়।
সাতসকালে খেজুরির বিদ্যাপীঠ মোড় বাজার এলাকায় সে এক হইহই কাণ্ড। ঘড়িতে সকাল প্রায় ৯টা। স্থানীয়দের বয়ান অনুযায়ী, বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক মহিলা চিৎকার করে বলতে থাকেন, “ও বলেছিল, মা রান্না করো। এবার আর জ্বালাবে না। আমি ওর মাথা কেটে দিয়েছি। বেশ করেছি। আমার মেয়ে, আমি কেটে দিয়েছি।” এরপর তিনি আরও বলতে থাকেন, “এবার আমি অন্য জায়গায় চলে যাব।” মহিলার মুখে এসব শুনে শিউরে ওঠেন এলাকাবাসী। বাজারে আসা লোকজন এসব শুনে ছুটে গিয়ে দেখেন, ঘরের ভিতরে সত্যিই বাচ্চা মেয়েটির ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা হয়ে পড়ে রয়েছে বিছানায়। জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মায়ের নাম সাগরিকা পাত্র। স্বামী বিশ্বজিৎ পাত্র পেশায় মোবাইল মেকানিক।
[আরও পড়ুন: ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবা, উত্তরবঙ্গে প্রাণহানি ২ মহিলার]
পুলিশ সূত্রে খবর, খেজুরির (Khejuri) বিদ্যাপীঠ বাজারে দোকান ভাড়া করেছিলেন বিশ্বজিৎ। সেই দোকানের পিছনেই পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। বছর নয়ের মেয়েটি মানসিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। তাঁর মায়েরও মানসিক অসঙ্গতি রয়েছে। তবে এদিন ঠিক কী কারণে নিজের সন্তানকে এভাবে খুন করল সাগরিকা, তা স্পষ্ট নয়। ঘটনার খবর শুনে সেখানে পৌঁছয় খেজুরি থানার পুলিশ। মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। পুলিশের দাবি, তখনই বোঝা যায়, ওই মহিলারও মানসিক ভারসাম্যের খানিকটা সমস্যা রয়েছে। ঠিক কী কারণে মেয়েকে এমন নৃশংসভাবে খুন করল সে, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।