ধীমান রায়, কাটোয়া: বাড়ি থেকে উদ্ধার শিশুকন্যা-সহ মহিলার ঝুলন্ত দেহ। বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন মেয়েকে খুন করে ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ধারের ঘটনায় কাটোয়ার ইসলামপুর গ্রামে শোরগোল।
বেশ কয়েক বছর আগে নারসিনা বিবির সঙ্গে মন্টু শেখের বিয়ে হয়। তাদের বছর পাঁচেকের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। নারসিনার স্বামী মিন্টু কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে থাকতেন তিনি। শনিবার সকালে নারসিনার শ্বশুর, শাশুড়ি বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ছিলেন না। দুপুরের দিকে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। নারসিনার শ্বশুর একটি ঘরে ঢুকে দেখেন সিলিং থেকে তাঁর বছরপাঁচেকের নাতনির দেহ ঝুলছে। চিৎকার শুরু করেন তিনি। প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। অবশ্য চিৎকার চেঁচামেচির পরেও পুত্রবধূকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না ওই বধূর শ্বশুর। তিনি খোঁজখবর শুরু করেন। তারপরই দেখা যায় পাশের ঘরটি ভিতর থেকে বন্ধ। তাঁরা পাশের ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন সিলিং থেকে ঝুলছে বধূর দেহ।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নির্দেশের পরই তৎপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, বাতিল SSC গ্রুপ সি’র ৮৪২ জনের নিয়োগপত্র]
খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পাওয়ামাত্রই কাটোয়া থানার পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ)। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বধূ। স্থানীয়দের দাবি, নারসিনা বিবির মেয়ে বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তা নিয়ে প্রায়শয়ই শ্বশুরবাড়ি থেকে গঞ্জনা শুনতে হত তাঁকে। শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত। সেই গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হন তিনি। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।