সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটিতে শিশু-বিক্রি চক্রের পর্দাফাঁস৷ অভিযোগ, ওই প্রতিষ্ঠানের রাঁচির হোমে জন্মানো চোদ্দদিনের একটি শিশুকে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির এক মহিলা কর্মীর৷ ‘নির্মল হৃদয়’-এর কর্মী অনিমা ইন্দওয়ারকে জেরা করে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
সন্তানের খোঁজ করতে করতে উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্রের বাসিন্দা ওই নিঃসন্তান দম্পতি ‘নির্মল হৃদয়’-এর কর্মী অনিমা ইন্দওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ গত ১৪ মে দম্পতির হাতে চোদ্দদিনের ওই শিশুটিকে তুলে দেয় অনিমা৷ তার আগে ১ মে শিশুপুত্রের বিনিময়ে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা দম্পতির থেকে নেয় ‘নির্মল হৃদয়’-এর ওই মহিলা কর্মী৷ মাসখানেক পর ১ জুলাই আবারও উত্তরপ্রদেশের ওই দম্পতিকে ডেকে পাঠানো হয়৷ দত্তক নেওয়ার পর কিছু কাগজপত্রের কাজ থাকায় তাঁদের আসতে বলা হচ্ছে বলেও জানায় অনিমা৷ শিশুকে সঙ্গে নিয়ে আসতে বলে অনিমা৷ দম্পতির অভিযোগ, হোমে আসার পর তাঁদের হাত থেকে শিশুপুত্রকে কেড়ে নেয় ওই কর্মী৷ কয়েকদিন কেটে গেলেও শিশুকে ফেরত দিতে রাজি হয়নি অনিমা৷
[পকেটে আধার কার্ড ছাড়াই এবার রেল সফর, মিলবে ডিজি-লকারের পরিষেবা]
ইতিমধ্যেই শিশুসুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা ওই হোম পরিদর্শনে আসেন৷ অনিমা ইন্দওয়ারের নেতৃত্বে রমরমিয়ে ওই হোমে শিশু বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ জানান ওই দম্পতি৷ কোতয়ালি থানাতেও শিশু বিক্রির অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, এর আগেও অবৈধভাবে হোম থেকে একাধিক শিশু বিক্রি করেছে অনিমা৷ ওই হোমে তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
[প্রতিশ্রুতি রেখে কর্ণাটকে কৃষিঋণ মকুবে কল্পতরু কুমারস্বামী]
দত্তক আইনের বদলের পর তিন বছর ধরে দত্তক দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি৷ তা সত্ত্বেও কীভাবে হোমের নামে শিশু দত্তক চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ নিয়মের পরিবর্তনে সমস্যায় পড়েছেন নিঃসন্তান দম্পতিরা৷ দত্তক নিতে হলে হাজারও ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে তাঁদের৷ সমীক্ষা বলছে, এর জেরেই বাড়ছে শিশু বিক্রির মতো অপরাধ৷ ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ভারতে প্রায় বারো হাজার দম্পতি শিশু দত্তক নেওয়ার আবেদন করলেও, আইনত মাত্র তিনহাজার এগারোজন শিশু দত্তক নিতে পেরেছেন৷
The post শিশু বিক্রিতে এবার নাম জড়াল মিশনারিজ অফ চ্যারিটিরও appeared first on Sangbad Pratidin.