সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার দৌলতাবাদের স্মৃতি ফেরাল মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলা। ফের সেতুর রেলিং ভেঙে সোন নদীতে পড়ে গেল বাস। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন প্রায় ২১ জন যাত্রী। আহত অন্তত ২০ জন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
ভোপাল শহর থেকে প্রায় ৫৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিধি জেলা। জেলার আমেলিয়া গ্রামের কাছে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ। জানা গিয়েছে, সিংগ্রাউলি জেলা থেকে সিধির দিকে এক বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল বাসটি। সিংগ্রাউলির মুজ্জাব্বিল খান নামে এক যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সিধি জেলার পামারিয়া গ্রামে। বাসে অনন্ত ৪৫ জন বরযাত্রী ছিলেন। সোন নদীর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে যায় বাসটি। গরমের কারণে সোন নদীর বেশিরভাগ জায়গায় জল শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে সোজা কঠিন মাটিতে ধাক্কা খায় বাসটি।
[হলমার্ক গহনা কিনে ঠকলে কড়া ব্যবস্থা, জানালেন বিআইএস কর্তা]
প্রথমে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই মৃতদের মাথা পিছু দুই লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনা চলতি বছরের শুরুতে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের বাস দুর্ঘটনার মর্মান্তিক স্মৃতি উসকে দিল। এমনভাবেই ব্রিজের রেলিং ভেঙে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল আস্ত একটি যাত্রী বোঝাই বাস। ঘটনায় চল্লিশেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য অভিযোগ ছিল, মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকার কারণেই চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তেমন কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[মহাভারতের যুগেও ছিল ইন্টারনেট, চাঞ্চল্যকর দাবি ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রীর]