সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু মহিলা ও মুসলিম পুরুষের মধ্যে বিয়ে ইসলামিক আইনে বৈধ নয়। তাই স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে হলেও তা 'অনিয়মিত' বলেই ধরা হবে মুসলিম আইনে (Muslim law)। ১৯৫৪ সালের স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া এক যুগলকে এমনই জানাল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট (MP High Court)। আদালতে নিরাপত্তার আর্জি জানানো ওই যুগলের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি গুরপাল সিংহ আলুওয়ালিয়া।
তাঁদের বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে এবং নিরাপত্তা চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন ওই যুগল। এদিকে মেয়েটির পরিবার ওই বিয়ের বিরোধিতা করে জানিয়েছিল এই বিয়ের ফলে সমাজে 'একঘরে' হতে হবে তাদের। পাশাপাশি মেয়েটি বাড়ি থেকে গয়না নিয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ জানানো হয়। যুগলের আর্জি ছিল, তাঁরা স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে (Special Marriage Act) বিয়ে করবেন। কেউ নিজের ধর্ম পরিবর্তন করবেন না। তাঁরা যখন ম্যারেজ অফিসারের কাছে যাবেন তখন যেন তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়, এই আবেদনও জানানো হয়।
[আরও পড়ুন: পুঞ্চ হাইওয়ে থেকে খাদে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, কাশ্মীরের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত কমপক্ষে ২১]
যুগলের তরফে যে আইনজীবী ছিলেন, তাঁর যুক্তি ছিল যেহেতু বিশেষ বিবাহ আইন মেনে হিয়ে হচ্ছে ফলে এক্ষেত্রে ইসলামিক ব্যক্তিগত আইন কোনওভাবেই লাগু হবে না। এর পরই বিচারপতি জানান, বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে আইনসিদ্ধ হতে পারে না, যদি সেটা কোনও ব্যক্তিগত আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ বলে পরিগণিত হয়। আদালত মনে করিয়ে দেয়, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনও যুগল 'নিষিদ্ধ' সম্পর্কে না থাকেন তাহলেই একমাত্র এই আইনে বিয়ে আইনসিদ্ধ বলে ধরা যাবে।
পাশাপাশি বিচারপতি এও বলেন, ''পিটিশনাররা এমনও বলেননি যে যদি বিয়ে না হয় তাহলে তাঁরা লিভ ইন সম্পর্ক শুরু করতে আগ্রহী। আবার ১ নম্বর পিটিশনার (হিন্দু মহিলা) মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতেও রাজি নন। এই পরিস্থিতিতে আদালত মনে করছে এখানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনও মামলা তৈরিই হচ্ছে না।''