shono
Advertisement

সামনে মেয়ের বিয়ে, ধারের টাকা ফেরত দিন! চিঠি লিখে সস্ত্রীক আত্মহত্যা ব্যবসায়ীর

মৃত্যুর আগে বানানো একটি ভিডিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Posted: 05:22 PM Jan 29, 2023Updated: 05:22 PM Jan 29, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পোশাক ব্যবসায়ী। অর্থের অভাব নেই। কিন্তু ব্যবসা সূত্রে বহু লোককে টাকা ধার দিয়েছিলেন। বারবার চেয়েও সেই টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না। এদিকে ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। এই অবস্থায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। শনিবার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করলেন ওই ব্যবসায়ী। বাড়ি থেকে গুলিবিদ্ধ স্ত্রীর দেহও উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, স্ত্রীকে হত্যার পরে আত্মহত্যা করেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পান্না শহরের ব্যবসায়ী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম সঞ্জয় শেঠ। পান্না শহরের কিশোরগঞ্জ থাকতেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, শনিবার স্বামী-স্ত্রী তখন দোতলায় ছিলেন। আচমকা গুলির শব্দ হয়। সঞ্জয়ের ঘরে ঢুকতেই তাঁরা দেখেন, মেঝেতে পড়ে রয়েছে সঞ্জয়ের স্ত্রীর মিনুর দেহ। ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। যদিও তখনও বেঁচে ছিলেন সঞ্জয়। তবে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়। এর পর পরিবারের সদস্যরাই পুলিশে খবর দেন।

[আরও পড়ুন: সন্তান লাভের আশায় করুণ পরিণতি, মোদির রাজ্যে মন্দিরের মধ্যেই যুবতীকে ধর্ষণ সাধুর!]

পুলিশ সঞ্জয়ের ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করেছে। এছাড়াও মৃত ব্যবসায়ীর ফোন থেকে পাওয়া গিয়েছে শেষ মুহূর্তের ভিডিও। চিঠিতে আত্মহত্যায় উদ্যত সঞ্জয় গুরুজির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। লিখেছেন, “গুরুজি আমাকে ক্ষমা করুন। যদি আবার জন্ম হয়, তা হলে আপনার একনিষ্ঠ ভক্ত হব।” পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে বানানো ভিডিওতে সঞ্জয় কাঁদতে কাঁদতে টাকা ফেরত চেয়েছেন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “মেয়ের বিয়ের জন্য ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু অ্যাকাউন্টে মাত্র ২৯ লক্ষ টাকা পড়ে রয়েছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, যে টাকা পাই তা ফেরত দিন। যাতে ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা খরচ করে আমার মেয়ে বিয়ে দিতে পারি।”

[আরও পড়ুন: ‘BBC বিপজ্জনক, নিষিদ্ধ করা হোক’, দিল্লিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দপ্তরের সামনে পোস্টার হিন্দু সেনার]

অর্থ সংকট থাকলেও মেয়ের বিয়ের জন্য যথেষ্ট পরিমান গয়না রাখা আছে, তাও লিখে গিয়েছেন ব্যবসায়ী। ছেলেমেয়ের উদ্দেশে লিখেছেন, “আমাদের ক্ষমা করে দিস।” ঘটনার বিষয়ে পান্নার পুলিশ সুপার ধর্মরাজ মীনা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। মনে হচ্ছে না এই হত্যার ঘটনায় বাইরের কেউ যুক্ত। তবে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement