সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সাতসকালে গির্জা প্রার্থনাসঙ্গীতে একটু যেন অন্য সুর৷ পুরুলিয়ার রাঁচি রোডের জিইএল চার্চে উঁকি দিতেই দেখা গেল, সত্যিই ব্যাপারটা কিছুটা আলাদা৷ রবিবার সকাল সকাল চার্চে গিয়ে যিশুমূর্তির সামনে সমবেত প্রার্থনা সংগীতে যোগ দিয়েছেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো৷
[আরও পড়ুন: ‘ভোট নয়, মানুষকে পাশে চাই’, প্রচার সভায় বার্তা নুসরতের]
রাঁচি রোড সংলগ্ন এলাকায় মূলত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাস৷ রবিবাসরীয় প্রচারে সেই জায়গাকেই বেছে নিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী৷ তবে সম্প্রীতির বার্তা দিতে এদিন দলের কোনও পতাকা ছিল না মৃগাঙ্ক মাহাতো এবং তাঁর প্রচার দলের সঙ্গে৷ তিনি গির্জায় গিয়ে বলেন, ‘আমি প্রভু যিশুকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছিলাম। গত পাঁচটা বছর আমাকে জনসেবা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। সমস্ত ধর্মই মানব সেবার কথা বলে। সম্প্রীতির কথা বলে। যিশুর কাছে আজ প্রার্থনা করলাম, পুরুলিয়ার মানুষ যেন সুখে, শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারেন।’ রবিবার সকাল সাড়ে আটটা বাজতে না বাজতেই তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়া একাই গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যান রাঁচি রোডের জিইএল গির্জায়৷ প্রার্থনাস্থলে বসে পড়েন। তাঁর হাতে জিইএল চার্চ কর্তৃপক্ষ তুলে দেন খ্রিস্টীয় জীবন সঙ্গীতের একটি সংকলন৷ এরপর প্রায় এক ঘন্টা ধরে উপাসনা চলে৷ সমবেত সংগীত, পাঠের মধ্যে দিয়ে জনসংযোগের ভিত তৈরি করেন৷ প্রার্থনা শেষে সকলের সঙ্গে আলাপচারিতার পর গির্জাতেই জলযোগ সারেন স্থানীয় ডাক্তারবাবু মৃগাঙ্ক মাহাতো৷ এদিন তাঁকে নিজেদের মধ্যে পেয়ে খুশি হয়ে ওঠেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষজন৷
[আরও পড়ুন: উন্নয়নকে সামনে রেখে প্রচারে আত্মবিশ্বাসী কল্যাণ, মাদলের তালে পা মেলালেন রত্না]
অন্যদিকে, মন্দির, মসজিদ ঘুরে রবিবাসরীয় প্রচার সেরেছেন আরেক গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর৷ এদিন সকলে গাইঘাটায় জলেশ্বর শিবমন্দিরে পুজো দেন৷ বেশ কিছুক্ষণ ধরে প্রার্থনা করেন৷ প্রসাদ এবং আশীর্বাদ নিয়ে চলে যান পাশের একটি মসজিদে৷ সেখানে মৌলবীর থেকে আশীর্বাদ নেন৷ এরপর আশেপাশের জলেশ্বর এলাকায় হেঁটে প্রচার করেন৷ পথচলতি মানুষজন ছাড়াও গাড়ির যাত্রী এবং চালকদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন৷ ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে শান্তনু ঠাকুরের নাম ওঠা প্রসঙ্গে মমতাবালার কটাক্ষ, ‘মতুয়াদের সঙ্গে মিথ্যাচার করছে শান্তনু৷ সকলে সেটা বুঝতে পেরেছেন৷ আগে ও ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতিমুক্ত রাখার কথা বলেছিল৷ আর এখন নিজেই প্রার্থী হতে চাইছে৷’ জয় নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বিদায়ী সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর৷ তাঁর আশা, গত উপনির্বাচনের ২ লক্ষেরও বেশি ছিল ভোটের ব্যবধান৷ এবার তা আরও বাড়বে৷
দেখুন ভিডিও:
ছবি: সুনীতা সিং (পুরুলিয়া)