সুকুমার সরকার, ঢাকা: নয়াদিল্লিতে আয়োজিত হয়েছে তৃতীয় ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুস(Muhammad Yunus)। গতকালই ইউনুসের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তখনই তাঁকে এই সম্মেলনে যোগদান করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি।
গতকাল বাংলাদেশে হিন্দু-সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয় মোদি ও ইউনুসের মধ্যে। দেশে সকলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দেন প্রধান উপদেষ্টা। ফোনালাপে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ইউনুসকে অভিনন্দন জানান মোদি। তার পর তাঁকে এই সম্মেলনের আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আজ শনিবার, ঢাকা থেকে অনলাইনে এই সামিটে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শামিল ওপার বাংলা, চট্টগ্রামে ‘রাত দখল’ মহিলাদের]
গত ৫ আগস্ট ব্যাপক গণ আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ছেড়ে তিনি আপাতত ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সেদেশে হামলার শিকার হচ্ছেন হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা। বিশেষ করে হিন্দুদের বাড়ি, সম্পত্তিতে হামলা চালানো হয়। ছাড় পায়নি উপাসনালয়গুলোও। বহু হিন্দুমন্দির ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু এনিয়ে মোদিকে আশ্বস্ত করেছেন ইউনুস। আগামিদিনে দুদেশের বন্ধন মজবুত রাখতেও আগ্রহী তিনি।
এদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে শুভ কামনা জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ। বাংলাদেশে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে এক চিঠিতে তিনি লেখেন, 'আমি সবক্ষেত্রে আপনাদের সাফল্য কামনা করছি। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত করতে হবে। দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য আমি আশাবাদী। অন্যদিকে, ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত ২১ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়াো। শুক্রবার সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে বলে আশাবাদী দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া।"