কৃষ্ণকুমার দাস: সম্প্রতি শ্রমআইন লঙ্ঘন মামলায় ছমাস কারাদণ্ড হয়েছে বাংলাদেশের গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.মহম্মদ ইউনুসের। এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। ভোটে বিপুল জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে মুজিবকন্যা বললেন, “শ্রমিকদের সঙ্গে জালিয়াতি হয়েছে। ক্ষমা চান ইউনুস।”
বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন মহম্মদ ইউনুস। গ্রামীণ টেলিকমের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত করেছেন ইউনুস, এমনটাও মনে করেন অনেকে। অর্থাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু এই দুই প্রতিষ্ঠানেই বিস্তর আর্থিক কেলঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বেআইনিভাবে শ্রমিক ও কর্মীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ লোপাট করা, যার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার হন ইউনুস। সম্প্রতি ইউনুস-সহ চারজনকে ছমাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত, দিল্লিকেই অগ্রাধিকার মুজিবকন্যার]
বিপুল ভোটে জয়লাভের পর সোমবার রাজধানী ঢাকার গণভবনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় ইউনুস প্রসঙ্গে। বিন্দুমাত্র সংকোচ না করে মুজিবকন্যা সাফ বলেন, “এই মামলায় আদালত রায় দিয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় কেউই হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে শ্রমিকদের সঙ্গে জালিয়াতি হয়েছে।” পাশাপাশি ইউনুসকে ক্ষমা চাইতেও বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে আওয়ামি লিগ। ২৯৯টি সংসদীয় ক্ষেত্রের (মোট ৩০০) জন্য ভোটগ্রহণ হয় বাংলাদেশে। প্রার্থীর মৃত্যুতে একটি আসনে ভোট হয়নি। ফলাফল বেরলে দেখা যায় প্রত্যাশা মতো আওয়ামি লিগ জয়ী হয়েছে ২২৩টি আসনে। শাসক দলের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টি (এরশাদ) পেয়েছে মাত্র ১১টি সিট। আসনরফা মেনে ২৬টি আসনে লড়াই করার সুযোগ পেলেও এরশাদের দল তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে।