shono
Advertisement

নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের

বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা চালু করেন মহম্মদ ইউনুস।
Posted: 05:26 PM Aug 03, 2022Updated: 05:26 PM Aug 03, 2022

সুকুমার সরকার, ঢাকা: আরও বিপাকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান ড. মহম্মদ ইউনুস। আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে এবার তিন সদস্যের দল গঠন করেছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন।

Advertisement

বিবিসি সূত্রে খবর, গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর, শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশের টাকা লোপাট, কল্যাণ তহবিলের অর্থ বরাদ্দ না করে আত্মসাতের মতো অভিযোগ পাওয়ার পর তারা অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মাহবুব হাসান সাংবাদিকদের বলেছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশন এই অনুসন্ধান শুরু করেছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়ার নেপথ্যেও ড. ইউনূসের ভূমিকা ছিল বলে সরকারের শীর্ষ মহল থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সফল হলেও বিদেশে ব্যর্থ মহম্মদ ইউনুস, ধাক্কা খেল তাঁর উদ্যোগ]

বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা চালু করেন মহম্মদ ইউনুস। গ্রামীণ টেলিকমের মাধতোমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত করেছেন ইউনুস বলেও মনে করেন অনেকে। কিন্তু এই দুই প্রতিষ্ঠানেই বিস্তর আর্থিক কেলঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বেআইনিভাবে শ্রমিক ও কর্মীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ লোপাট। শুধু তাই নয়, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধের সময় অবৈধভাবে আইনজীবীর ফি-সহ অন্যান্য ফিয়ের নামে ছয় শতাংশ অর্থ কর্তন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। গ্রামীণ টেলিকম থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরও করা আহয়েছে। শ্রমিকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ-সহ এসব অভিযোগ জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দেয় শ্রমমন্ত্রকের অধীনস্থ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

এদিকে, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইউনূস সেন্টার। তাদের দাবি, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত। তিনি নিয়মিত কর রিটার্ন জমা দেন ও পরিশোধ করেন। গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি হিসাবে বেতনের বাইরে তিনি কোন অর্থ গ্রহণ করেননি। তার আয়ের মূল উৎস হলো ভাষণের উচ্চ ফি, বইয়ের রয়্যালটি ও স্থায়ী আমানতের আয়।

[আরও পড়ুন: শ্রম আইন ভাঙার অভিযোগ, ফৌজদারি মামলা নোবেলজয়ী ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement