কৃষ্ণকুমার দাস: তৃণমূল নয়, বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই বসছেন সদ্য তৃণমূলে ফেরা মুকুল রায় (Mukul Roy)। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের ক্রমিক সংখ্যা ৪২। ৪০ নম্বর আসনটি বরাদ্দ বিজেপির চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গার জন্য। ৪১ নম্বর আসনে বসছেন মিহির গোস্বামী। ঠিক তাঁর পাশের আসনটিই রাখা হল মুকুল রায়ের জন্য।
আজ, শুক্রবারই শুরু হয় বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। সেখানেই দেখা যায়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাঁ-দিকে যেখানে অশোক লাহিড়ী বসেছিলেন, সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুকুল রায়কে। শীর্ষ নেতৃত্বের ইচ্ছায় মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ আসন বদলের প্রস্তাব দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাবে সম্মতি মেলে। আসন বদলের ব্যবস্থা করে বিধানসভার সচিবালয়। সোমবার থেকে ওই পরিবর্তিত আসনে অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর পাশেই বসবেন মুকুল রায়।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতেই BJP’র বিক্ষোভ, ভাষণ থামিয়ে বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপাল]
বিধানসভা ভোটের পরই গেরুয়া শিবির ছেড়ে পুরনো দলে ফেরেন মুকুল রায়। তাঁর দলবদল নিয়ে রাজনৈতিক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল দুই শিবিরেই। তবে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করলেও বিধায়ক পদ না ছাড়ায় খাতায় কলমে এখনও তিনি সম্পূর্ণ রূপে ‘বিজেপিমুক্ত’ নন। তাই বিজেপির তরফে এদিন দাবি করা হয়, যেহেতু এখনও তিনি বিজেপি বিধায়ক, ফলে বিরোধীদের সঙ্গেই বসতে হবে তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ বিজেপি বিধায়করা সরব হলে শাসক ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির (PAC) চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের নাম মনোনয়ন নিয়ে তরজা তুঙ্গে ওঠে। তাঁর মনোনয়ন নিয়ে আপত্তি দেখায় বিজেপি। এদিকে ভোটাভুটি হলে তাঁকে জিতিয়ে আনবে বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “পিএসি চেয়ারম্যানের জন্য যে কেউ মনোনয়ন জমা করতে পারেন। মুকুল রায় তো বিজেপি সদস্য। তাঁকে তো কালিম্পংয়ের বিনয় তামাংয়ের দল সমর্থন জানিয়েছে। আমরাও সমর্থন করব। এটা স্পিকার সিদ্ধান্ত নেবেন।” এবার এদিন বিধানসভায় দেখা গেল বিজেপি বিধায়কদের পাশেই বসছেন মুকুল রায়।