সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইনে লুডো খেলতে গিয়ে পাকিস্তানি নাবালিকার প্রেমে পড়েন মুলায়ম সিং যাদব (Mulayam Singh Yadav)। শুধু তাই নয়, সীমান্তের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভারতে চলে আসেন ওই নাবালিকা। বেঙ্গালুরুর একটি আবাসনে একসঙ্গে থাকতেও শুরু করে ওই যুগল। অবশেষে নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মুলায়ম সিংকে। একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে মুলায়মের বিরুদ্ধে।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, মুলায়ম সিং যাদব আসলে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দা। পেশার টানে বেঙ্গালুরুতে বসবাস শুরু করে সে। একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করত মুলায়ম। গত বছরেই একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে লুডো খেলা শুরু করে। খেলতে খেলতেই আলাপ হয় এক পাকিস্তানি নাবালিকার সঙ্গে। ক্রমেই গভীর হয়ে ওঠে দু’জনের বন্ধুত্ব। বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: OMG! ২৫০০ হাজার টাকায় অনলাইনে এক প্লেট বিরিয়ানি কিনলেন তরুণী, ব্যাপারটা কী?]
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ পাক (Pakistan) নাবালিকাকে ভারতে আনার পরিকল্পনা কষেন মুলায়ম। ঘুরপথে নেপাল হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ওই নাবালিকা। প্রথমে বিহার, তারপরে বেঙ্গালুরুতে এসে পৌঁছয় সে। তারপর থেকে বেঙ্গালুরুর একটি আবাসনে ২৬ বছর বয়সি মুলায়মের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। নাবালিকার ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরির আবেদনও করে মুলায়ম। তাদের বিয়ে হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
কয়েকদিন আগে পাকিস্তানে নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেন ওই নাবালিকা। সেখান থেকেই নাবালিকার খোঁজ পায় বেঙ্গালুরু পুলিশ। আবাসনে হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় মুলায়মকে। সেই সঙ্গে মামলা দায়ের করা হয় আবাসন মালিকের বিরুদ্ধেও। তাঁর বাড়িতে বিদেশি নাগরিক বসবাস করছেন, সেই খবর পুলিশকে না জানানোর কারণে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন আবাসনের মালিক। আপাতত বিদেশিদের রেজিস্ট্রেশনের অফিসে ঠাঁই হয়েছে পাক নাবালিকার। তাঁকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেওয়া হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও।