সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলমন খানের (Salman Khan) 'গ্যালাক্সি'তে হামলার ঘটনায় একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এর আগে তাপি নদী থেকে একটি বন্দুক উদ্ধারের খবর জানা গিয়েছিল। এবার খবর, ওই জায়গা থেকেই উদ্ধার হয়েছে দ্বিতীয় বন্দুক। পাওয়া গিয়েছে তিন-তিনটি ম্যাগাজিন।
পয়লা বৈশাখের দিন আচমকাই সলমনের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই বাইক আরোহী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সলমনের 'গ্যালাক্সি' অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে। বুলেট গিয়ে লাগে সুপারস্টারের বাড়ির দেওয়ালে। গুলি চালিয়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। ঘটনার তদন্তভার যায় মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে। সলমনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে ডানকুনিতে ওষুধের গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন, ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা]
ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ভিকি গুপ্ত (২৪) ও সাগর পাল (২১) নামের দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ভুজ পুলিশ। ধৃতদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এই দুজনকে জেরা করেই তাপি নদীতে বন্দুক ও গুলি ফেলার কথা জানতে পারে পুলিশ। ধৃতরা নাকি সুরাটে পালিয়ে যাওয়ার আগে নদীতে বন্দুক আর গুলি ফেলে গিয়েছিল। দুটি বন্দুকই এখন পুলিশের কাছে। আর সেই সঙ্গে রয়েছে উদ্ধার হওয়া তিনটি ম্যাগাজিন। যাতে কয়েক রাউন্ড বুলেট থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে শোনা গিয়েছিল, সলমনের বাড়িতে মোট চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। জেরার মুখে ধৃতরা নাকি কবুল করেছে, তাঁদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ভয় দেখানো ছিল। ভাইজানকে মারার নির্দেশ ছিল না। এই ঘটনায় বারবার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম উঠে আসছে। ভিকি-সাগরও নাকি এই গ্যাংস্টারের দলেরই সদস্য।কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই সুপারস্টারকে নিজের শত্রু হিসেবে মানে বিষ্ণোই। এর আগে একাধিকবার সলমন খানকে হুমকি দিয়েছে সে। শোনা যায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জানতে পেরেছে বিষ্ণোইর হিট লিস্টে থাকা ১০ জনের মধ্যে সবার আগে সলমনের নাম রয়েছে।
এদিকে বাড়িতে শুটআউট, ফোনে লাগাতার হুমকির সামনেও মাথা নত করতে নারাজ ভাইজান। তাই তো সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিষ্ণোই গ্যাংকে ভয় পেয়ে বাড়িতে বসে থাকবেন না। আগের মতোই সমস্ত কাজ করবেন। রবিবার দুবাই থেকে ফেরার পরও সেই একই মেজাজে দেখা যায় সল্লু মিঞাকে। বিমানবন্দরে তাঁকে ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তার চাদর। তবে বাইরে বেরিয়েই গাড়ির সামনের সিটে বসেন ‘সাহসী’ সলমন।