মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২৩৪/৫ (রোহিত শর্মা- ৪৯, টিম ডেভিড- ৪৫)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০৫/৮ (পৃথ্বী শ- ৬৬, ত্রিস্তান স্টাবস-৭১)
২৯ রানে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে হাসি ফিরল হার্দিক পাণ্ডিয়ার (Hardik Pandya) মুখে। চলতি আইপিএলে টানা তিন ম্যাচ হারের পর প্রথম জয়ের দেখা পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। রোহিত শর্মা, টিম ডেভিডদের ব্যাটিং দাপটে সমস্ত বিতর্ক ধুয়ে গেল আরব সাগরের জলে। এদিন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসকে (Delhi Capitals) ২৯ রানে হারালেন হার্দিকরা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। কিন্তু উলটো দিকে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) চেনা মেজাজে থাকলে, সমস্ত রণনীতিই বুমেরাং হয়ে যায়। এদিনও ঠিক তাই ঘটল। প্রথম ওভার থেকেই দিল্লি বোলারদের আক্রমণ শুরু করেন হিটম্যান। প্রিয় পুল শট মারতেও দেখা যায় তাঁকে। রোহিতের চার-ছয়ের বন্যায় ৬ ওভারে মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডে ৭৫ রান উঠে যায়। তার মধ্যে প্রাক্তন মুম্বই অধিনায়কেরই রান ছিল ৪৯। সঙ্গে ঈশান কিষান যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেলেন। যদিও পরের ওভারেই ফিরে যান রোহিত। অক্ষর প্যাটেলের (৩৫/৪) বলে বোল্ড হয়ে অর্ধশতরান মাঠেই ফেলে আসেন তিনি। চোট থেকে ফেরা সূর্যকুমার যাদব (০) সম্পূর্ণ ব্যর্থ। হার্দিক পাণ্ডিয়া ৩৯ রান করলেও নিয়ে ফেললেন ৩৩ বল। সেখান থেকে মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডের গতি বাড়িয়ে দেন টিম ডেভিড। ২১ বলে ৪৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ ওভারে ৩২ রান নেন রোমারিও শেফার্ড (৩৯)। মুম্বইয়ের রান পৌঁছে যায় ২৩৪-এ।
[আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারের পর প্রথমবার নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন শামি, বিশ্বকাপে ফিরবেন?]
বিরাট রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ম্যাচ জেতা মুশকিল ছিল দিল্লির। জশপ্রীত বুমরাহ এদিন ফের বাজিমাত করে গেলেন। ৪ ওভারে মাত্র ২২ দিয়ে তুলে দিলেন পৃথ্বী শ (৬৬) আর অভিষেক পোড়েলের (৪১) উইকেট। অজি ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার (১০) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর দিল্লির ব্যাটিংকে ভরসা দিচ্ছিলেন দুই ভারতীয়। মুম্বইয়ের বোলিংয়ের আরেক অস্ত্র জেরাল্ড কোয়েৎজি এদিন ৪ উইকেট তুলে নিলেন। মাত্র ১ রানে ফেরালেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে। একটা সময় দিল্লির জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান রেট ছিল ১৬-র উপরে। তখনই জ্বলে ওঠেন স্টাবস। তাঁর মারকুটে ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, দিল্লি জিতেও যেতে পারে। ২৫ বলে অপরাজিত ৭১ রান করেন তিনি। কিন্তু বিপরীত দিকে কাউকে সঙ্গে পেলেন না। শেষ পর্যন্ত ২৯ রানে হেরে যায় দিল্লি।
[আরও পড়ুন: দুই সতীর্থের সঙ্গে এক ঘরে থাকতে চান না রোহিত, কিন্তু কেন?]
ম্যাচ শেষে ভিকট্রি ল্যাপ দিতে দেখা গেল হার্দিকের মুম্বইকে। এই অধিনায়ককেই টানা ধিক্কার শুনতে হয়েছে ওয়াংখেড়ের দর্শকদের থেকে? জয়ের সরণিতে ফিরে কি দর্শকদের মন জিততে পারলেন হার্দিক অ্যান্ড কোং? উত্তরটা সময়ই দেবে।