সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধুই কি ক্রিকেটীয় কারণ? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে পুরোটাই ব্যবসা? গুজরাট টাইটান্সকে (Gujarat Titans) বিদায় জানিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে (Mumbai Indians) ফিরেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। সেই খবরে তোলাপাড় হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট। তবে এখন শোনা যাচ্ছে গুজরাট থেকে পুরনো দল মুম্বইতে ফিরে যাওয়ার জন্য হার্দিকের ট্রান্সফার ফি নাকি ছিল ১০০ কোটি টাকা! আগামী আইপিএলের (IPL 2024) এমনই তথ্য সামনে এসেছে।
কিন্তু কীভাবে এই চুক্তি সম্ভব হল? ক্রিকেটীয় যুক্তির কথা ভাবলে মনে হচ্ছে, রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) পরবর্তী জমানায় সাদা বলের ক্রিকেটে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অধিনায়ক হতে পারেন হার্দিক। দু’টি আইপিএল ফাইনালে অধিনায়ক হিসেবে দলে তোলার অভিজ্ঞতাও তাঁর রয়েছে। এদিকে ২০২৫ সালেই আইপিএল-এর মেগা নিলাম। তার আগে হার্দিককে দলে নেওয়ায় এখন তাঁকে ‘রিটেন’ করে দল সাজানোর জন্য ঝাঁপাতে পারবে মুম্বই।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ‘শত্রু’-কে খুঁজে বের করলেন অশ্বিন! কে সেই ব্যক্তি?]
তবে একইসঙ্গে পুরো ব্যাপারটার মধ্যে ব্যবসারও গন্ধ পাচ্ছেন ক্রিকেট পণ্ডিতরা। আসলে গুজরাটের মালিক হল সিভিসি ক্যাপিটালস। এই সংস্থা আইপিএলের দল কিনেছে বিনিয়োগ হিসেবেই। ৫৬২৫ কোটি টাকা দিয়ে গুজরাটের দল কিনেছিল সিভিসি। আপাতত এই সংস্থার ম্যানেজিং পার্টনারের সংখ্যা ৪০। স্বভাবতই হার্দিককে মুম্বইতে পাঠিয়ে এই সংস্থার পকেটে এসেছে মোটা টাকা। যদিও এই অঙ্কের বিষয়ে তিন পক্ষের কেউই মুখ খুলতে চায়নি। তবে সূত্রের দাবি, গুজরাট থেকে মুম্বইয়ে যাওয়ার জন্য হার্দিকের ট্রান্সফার ফি নাকি ছিল ১০০ কোটি টাকা!
অবশ্য এই আকাশছোঁয়া ট্রান্সফার ফি-এর দাবি আদতেই সত্যি কি না, সেটা জানা যাবে আগামী অর্থবর্ষের শেষে। সিভিসি ক্যাপিটালস যখন তাদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করবে। তবে ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড হিসেবে সিভিসির কাছে এই লেনদেন নিঃসন্দেহে আইপিএল জয়ের সমান। ফুটবল জগতে এই মডেলে বহু বছর ধরেই ব্যবসা হয়ে আসছে। তবে ক্রিকেটেও হার্দিকের লেনদেনের মাধ্যমে এই মডেল বেশ জনপ্রিয় হতে পারে। ইউরোপে ডাচ ক্লাব আয়াক্স কিংবা জার্মানির বরুশিয়া ডর্টমুন্ড গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই ফুটবলার কেনাবেচা করছে। এবার নাকি হার্দিকের ক্ষেত্রেও সেই মডেলকে সামনে আনা হল।
২৪ বছর বয়সে মুম্বইতে যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক। দু’বছর গুজরাটে কাটিয়ে ফের ঘরে ফিরেছেন তিনি। আইপিএল-এর শুরুতে হার্দিকের দাম ছিল ১০ লাখ। আর এখন তাঁর মূল্য ১৫ কোটি টাকা। তবে কোন অঙ্কে গুজরাট থেকে মুম্বইতে হার্দিককে আনলেন নীতা আম্বানিরা? ব্যাপারটা অনেকের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে দু’বছর হার্দিকের জন্য ৩০ কোটি খরচ করেছে গুজরাট। আর ট্রান্সফার ফি বাবদ ১০০ কোটি টাকা পেয়েছে, তাতে সেই খরচ হয়ত উঠে এসে লাভ এনে দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের।