সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমানযাত্রায় সহযাত্রীর কম্বলে প্রস্রাবের অভিযোগে অবশেষে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করা হল শংকর মিশ্রকে। শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রাজধানীতে আনে দিল্লি পুলিশ বলে খবর। পলাতক এই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি অথবা বিমানবন্দরগুলিকে সতর্ক করার আরজি জানানো হয়েছিল।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেঙ্গালুরুতে একটি দল পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকেই নিজের মোবাইল ফোন অফ করে রেখেছিলেন শংকর মিশ্র। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। বন্ধুদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিলেন তিনি। পাশাপাশি ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডও ব্যবহার করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁর খোঁজ পায় পুলিশ। অবশেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল নেতাদেরই রক্ষাকবচ লাগবে’, ‘দিদির দূত’কে নিশানা দিলীপের]
গত ২৬ নভেম্বর আমেরিকা থেকে দিল্লিতে ফিরছিলেন ৭০ বছর বয়সি বৃদ্ধা। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানের বিজনেস ক্লাসে আচমকাই তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন শংকর মিশ্র। অধিকাংশ যাত্রী ঘুমন্ত থাকার কারণে ঘটনাটি সকলের নজর এড়িয়ে যায়। বিমানের কর্মীদের এই ঘটনা জানালে তাঁরা ওই বৃদ্ধাকে পরিষ্কার জামাকাপড় পরে ঘুমিয়ে পড়তে নির্দেশ দেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি যেন মুখ না খোলেন, সেই কথাও বলা হয় বৃদ্ধাকে। বিমানকর্মীদের আচরণে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লেখেন ওই বৃদ্ধা। অভিযোগ পেয়ে উড়ান সংস্থার শীর্ষ কর্তারা দুঃখপ্রকাশ করেন। এরপর আসরে নামে ডিজিসিএ। তাঁর উপর ৩০ দিনের জন্য উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বৃদ্ধা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শংকরকে গ্রেপ্তার করা হল। তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।
যে মার্কিন (US)বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করতেন শংকর, তারা তাঁকে ইতিমধ্যেই চাকরি থেকে বরখাস্ত (Sack) করেছে। তবে অভিযুক্ত শংকরের বাবা শ্যাম মিশ্রর দাবি, বৃদ্ধাকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন শংকর। তা সত্ত্বেও তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে।