সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা (Coronavirus) আবহেই বাংলাদেশে শুরু হতে চলেছে পুরনির্বাচন। সোমবার থেকে চার দফায় হবে ভোটগ্রহণ পর্ব। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভোট, তারপর ফলাফল। দেশের মোট ৩২৯ টি পুরসভার মধ্যে সোমবার ২৪টিতে ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ইভিএমে (Electronic Voting machine) নিজেদের রায় জানাবেন ভোটাররা। করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়াও শান্তিপূর্ণ ভোটপর্বের জন্য বেশ কয়েকটি বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে। মোতায়েন বাড়তি পুলিশ, বিজিবি, ব়্যাব। এমনই জানিয়েছেন সে দেশের নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
জানা গিয়েছে, সোমবার বাংলাদেশের (Bangladesh) ২৪টি পুরসভা নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর পদের লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন মোট ১০০০ প্রার্থী। অন্যান্য ভোটের মতো এবারও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী শাসকদল শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ এবং বিরোধী খালেদা জিয়ার বিএনপি (BNP)। এছাড়া জাতীয় পার্টি, জাতীয় গণতন্ত্র পার্টির মতো দলগুলিও প্রার্থী দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা আবদুল কাদের]
রাজনৈতিক মহলের মতে, এমনিতে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি হিংসার ঘটনা ছাড়া দেশের প্রাক নির্বাচনী পরিবেশ শান্তই রয়েছে। এখন ভোটের দিনগুলিতেও সেই একই পরিস্থিতি বজায় রাখা চ্যালেঞ্জের। করোনা কালে ভোট হলেও ইভিএম-ই ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশের পুরনির্বাচনে। তবে ভোটারদের শারীরিক দূরত্ববিধি মেনেই লাইনে দাঁড়াতে হবে, এ বিষয়ে কড়া নির্দেশ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
[আরও পড়ুন: ভোটে হেরে প্রতিশ্রুতি পালন, বাংলাদেশে ভোটারদের পা ধুইয়ে দিলেন পরাজিত প্রার্থী]
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ”সবরকম প্রস্তুতি শেষ। যেসব জায়গা সোমবার ভোটগ্রহণ, সেখানকার পরিস্থিতিও শান্ত। ভোটকর্মীরা নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা বা অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি আমরা। সব ভোট হবে ইভিএমে।” অবশ্য দ্বিতীয় দফার ভোটে এর একটু ব্যতিক্রম রয়েছে। জানুয়ারির ১৬ তারিখ ভোট হবে মোট ৬১টি পুরসভায়। তার মধ্যে ৩২টি পুরএলাকায় ভোট হবে ব্যালটে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফল প্রকাশিত হয়ে যাবে। দেশের মোট ৩২৯টি পুরসভায় ফের নতুন পুর প্রশাসন তৈরি হবে।