সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪ বছর আগের অপহরণ ও তোলাবাজি মামলা। লোকসভার মুখে শ্রীঘরে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের শীর্ষ নেতা ধনঞ্জয় সিং। মায়াবতীর দল বিএসপির প্রাক্তন সাংসদ তথা অধুনা জেডিইউয়ের(JDU) সর্বভারতীয় মহাসচিব ধনঞ্জয় সিংয়ের (Dhananjay Singh) ৭ বছরের সাজা ঘোষণা করল আদালত। বুধবার চার বছরের পুরনো মামলায় ধনঞ্জয়কে জেলে পাঠাল জৌনপুরের এমপি-এমএলএ আদালত। একই সঙ্গে এই মামলায় সাজা শোনানো হয়েছে ধনঞ্জয় ঘনিষ্ঠ সতীশ বিক্রম সিংকেও।
২০২০ সালের ১০ মে মুজফফরনগরের বাসিন্দা অভিনব সিঙ্ঘল নামে এক ব্যক্তি গুরুতর অভিযোগ তোলেন ধনঞ্জয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ একাধিক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। জৌনপুরের লাইনবাজার থানায় প্রাক্তন সাংসদ (Ex MP) ধনঞ্জয় ও তাঁর একাধিক ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তি অপহরণ ও তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন। সিঙ্ঘলের অভিযোগ ছিল, সতীশ বিক্রম ও তাঁর ২ সঙ্গী মিলে তাঁকে অপহরণ করে ধনঞ্জয়ের বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাক্তন সাংসদ তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দেন ও বিপুল টাকা নেন তাঁর কাছ থেকে। সিঙ্ঘলের অভিযোগের ভিত্তিতে ধনঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে অবশ্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পান অভিযুক্ত। গত ৪ বছর ধরে আদালতে এই মামলা চলার পর বুধবার এই মামলায় প্রাক্তন সাংসদ ও তাঁর ঘনিষ্ঠকে ৭ বছরের সাজা শোনাল জৌনপুর এমপি-এমএলএ আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ধনঞ্জয়।
[আরও পড়ুন: সনাতন ধর্ম বিতর্কে স্বস্তি, উদয়নিধির বিরুদ্ধে মামলা খারিজ মাদ্রাজ হাই কোর্ট]
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের ‘বাহুবলি’ প্রাক্তন সাংসদের রাজনৈতিক কেরিয়ার অবশ্য চমকে দেওয়ার মতো। ২০০২ সালে উত্তরপ্রদেশের রারি বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে জয় পান ধনঞ্জয়। এরপর ২০০৯ সালে মায়াবতীর দল বিএসপির টিকিটে জৌনপুর থেকে সাংসদ হন তিনি। তবে ২০১১ সালে দল বিরোধী কাজের জন্য তাঁকে বহিস্কার করে বিএসপি। ২০১৪ সালে নির্দল হয়ে লোকসভায় লড়লেও নির্বাচনে হারেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে যোগ দেন জেডিইউতে।
[আরও পড়ুন: রাহুল আমেঠিতেই, প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা! প্রথম তালিকায় চমক দেওয়ার পথে কংগ্রেসও]