সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডে ভারতীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিল সে। এবার সেই মুস্তাক আহমেদ জারগারকে (Mushtaq Ahmed Zargar) সন্ত্রাসবাদী তকমা দিল নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে’ (ইউএপিএ) অল-উমর-মুজাহিদিনের (AlUmar-Mujahideen) প্রতিষ্ঠাতা ও শীর্ষ কমান্ডারকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হল। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে এই আইনে মাসুদ আজহারের ভাই ও ছেলেকেও সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
বন্দুকের বলে ভারত থেকে জম্মু এবং কাশ্মীরকে (Jammu And Kashmir) স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল অল-উমর-মুজাহিদিন। ১৯৮৮-৮৯ সাল নাগাদ সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে (Pakistan) পাড়ি দেয় জারগার। সেখানে নাশকতামূলক কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ নেয় সে। সূত্রের খবর, ইসলামাবাদে বিস্ফোরক তৈরি, বন্দুক চালানো থেকে মগজ ধোলাই, হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নেয় AUM-এর শীর্ষ কমান্ডার। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক হামলা, খুনের নেপথ্য ছিল এই জারগার। এমনকী, একাধিক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিল সে।
[আরও পড়ুন: সকাল ১১.০৫-এর পর স্কুলে এলেই শিক্ষকদের ‘অনুপস্থিত’ ধরা হবে, রাজ্যে জারি কড়া নির্দেশিকা]
আপাতত পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরবাদে নিজের সংগঠনের সদর দপ্তর তৈরি করে বহাল তবিয়তে আছে জারগার। ভূস্বর্গের শ্রীনগর, কুপওয়ারা, কুলগাম, বুদগামের মতো এলাকায় সন্ত্রাসও চালিয়ে যাচ্ছে। চালাচ্ছে মগগ ধোলাইয়ের কাজও। সূত্রের খবর, আর এই সমস্ত কাজে জারগারকে প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং জইশ-ই-মহম্মদ। তাদের সাহায্যেই ২০০২ সালে কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট চলাকালীন প্রার্থীর উপরও হামলা চালিয়েছিল জারগার।
নয়ের দশকের শেষের দিকে এদেশের জেলে বন্দী ছিস সে। কিন্তু ১৯৯৯ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অপহরণ করে জঙ্গিরা। কান্দাহার অপহরণ কাণ্ডে (Kandahar Flight Hijack) বিমানযাত্রীদের মুক্তির বদলে তিন জঙ্গিরে রেহাইয়ের শর্ত দিয়েছিল জেহাদিরা। সেই সময় আইএসআইয়ের মানসপুত্র মাসুদ আজহার, আহমেদ ওমর সৈয়দ শেখ এবং মুস্তাক আহমেদ জারগারকে রেহাই দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত সরকার। এবার সেই জারগারকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।