সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির প্রবল আপত্তি উড়িয়ে কর্নাটক বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল সংখ্যালঘু সংরক্ষণ বিল। এই বিলে রাজ্যপাল সম্মতি দিলেই কর্নাটকে সরকারি চুক্তির ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ পাবে সংখ্যালঘুরা।

গত সপ্তাহে বাজেট পেশের সময়ই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ঘোষণা করেন, রাজ্যের সমস্ত সরকারি কাজের ক্ষেত্রে আইন করে মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করা হবে। শুক্রবার সেই ঘোষণা মতো বিধানসভায় মুসলিম সংরক্ষণ বিল পেশ করা হয়। প্রত্যাশিতভাবেই বিল পেশের সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিলের কপি ছিঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা হয় স্পিকারের দিকে। কেউ কেউ স্পিকারের চেয়ারে উঠে পড়ারও চেষ্টা করেন। বিজেপির সাফ কথা, এই বিল সংবিধান বিরোধী।
মুসলিম ইস্যুতে কর্নাটকে কংগ্রেস ও বিজেপির অবস্থান সম্পূর্ণ উলটো মেরুতে। বিজেপি শাসনে কর্নাটকে সরকারি বরাতে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ তুলে দেওয়া হয়। পালটা কংগ্রেস জানায়, ক্ষমতায় এলে ফের সংরক্ষণ ফিরিয়ে আনা হবে। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। এর পরই সংখ্যালঘুদের মনজয়ে উঠেপড়ে লাগে সরকার।
গত ৭ মার্চ শুক্রবার কর্নাটক বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সেই বাজেটে সংখ্যালঘুদের জন্য দেদার ঘোষণা করা হয়। স্রেফ সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেন সিদ্দা। মুসলিমদের দাবি মেনে সরকারি টেন্ডার বা বরাতে মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এই সিদ্ধান্তেই শিলমোহর দিল সিদ্দা সরকার। বিলে জানানো হয়েছে, এক কোটি টাকা পর্যন্ত সরকারি বরাতে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন মুসলিম ঠিকাদারেরা।