shono
Advertisement

‘বিজেপিকে ভোট না দিক, সরকার কিন্তু মুসলিমদেরও খেয়াল রাখে’

মিুসলিম বলে কি কেউ ছাঁটাই হয়েছেন, প্রশ্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।
Posted: 10:23 AM Apr 22, 2017Updated: 06:54 PM Oct 07, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে উন্নয়নের মুখ। অন্যদিকে হিন্দুত্বের হাওয়া। এ দুই মিলিয়েই বিজেপির পালে বাতাস লেগেছে। তবে যোগী পরবর্তী অধ্যায়ে হিন্দুত্বের ভার কিঞ্চিত বেশি হয়েছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আর তাই সেই ভাবমূর্তি বদলানোরও চেষ্টা বিজেপির অন্দরে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের মুখে শোনা গেল সে বার্তা। তিনি জানালেন, মুসলিমরা তো বিজেপিকে ভোট দেয় না।  কিন্তু সরকার কি তাই বলে তাদের দেখাশোনায় কোনও খামতি রাখে? সরকার মুসলিমদেরও পুরো খেয়াল রাখে।

Advertisement

শহরে বাড়ছে সোয়াইন ফ্লু’র দাপট, এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ২৫ ]

সাম্প্রতিক অতীতে বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে উঠেছে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ। উন্নয়নেও কি তার ছাপ পড়ছে?  এ প্রশ্ন করা হলেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, বিজেপি এই মুহূর্তে ভারতের শাসক দল। দল থেকে ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।  কিন্তু কোথাও কি কোনও মুসলিমকে হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে?  কাজ করছেন এমন মুসলিমকে কি শুধু মুসলিম বলে ছাঁটাই করা হয়েছে? এরপরই তিনি স্বীকার করে নেন যে, মুসলিমরা তাঁদের ভোট দেন না।  কিন্তু বিজেপিকে মুসলিমদের পছন্দ না হলেও সরকার কখনও দ্বৈত নীতি নিতে পারে না।  আর তাই তাঁর মন্তব্য, সরকার কিন্তু ভোট না দিলেও মুসলিমদের যথাযথ খেয়াল রাখে।

এবার পেট্রল-ডিজেলেরও হোম ডেলিভারির ভাবনা কেন্দ্রের ]

তিনি জানান, বিজেপিও দেশের বৈচিত্রের ঐতিহ্যকেই সমর্থন করে।  বিভাজনের অভিযোগ যে আছে দলের বিরুদ্ধে তা স্বীকার করে নিয়েও তাঁর প্রশ্ন, বিজেপি যে এতদূর এসেছে, তা কি মানুষের সমর্থন-আশীর্বাদ না থাকলে সম্ভব হত?  তাঁর দাবি, বহু প্রত্যন্ত মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে গিয়ে তিনি দেখেছেন, মুসলিম যুবারাও সরকারি প্রকল্পের সাফল্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মুসলিমদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। নুমনাস্বরূপ তিনি তুলে ধরেন, জলপাইগুড়ির চা-বাগান শ্রমিক করিমুল হকের কথা। যেখানে অ্যাম্বুলেন্স মেলে না সেখানে মোটর সাইকেলকেই অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে বহু অসহায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। তাঁকে সম্মান জানিয়েছে প্রশাসন। এই উদাহরণ তুলে ধরেই মন্ত্রী আরও জানান, আসলে বাম ও সাংবাদিকদের একাংশই মোদির নামে পরিকল্পিতভাবে ঘৃণা ছড়াচ্ছে।  তা নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই।  বৈচিত্রকে সম্মান করেই বিজেপি এগোবে বলেই দৃঢ় বিশ্বাস তাঁর।

‘ফতোয়া জারি করিনি’, আজান বিতর্কে উল্টো সুর ‘মৌলবী’র  ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার