সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গীতাপাঠ করা যাবে না। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছবি আপলোড করা যাবে না। ডিজাইনার বোরখা পরা যাবে না। একের পর এক সাধারণ ও স্বাভাবিক বিষয়ে ফতোয়া জারি করে নিজেদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরিয়ে ফেলছেন মৌলবিদের একাংশ, এমনটাই বলছে শিক্ষিত মুসলিম সমাজ। আর এবার মুসলিমদের রসনাতৃপ্তির পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মৌলবিদের ফতোয়া। চিংড়ি খেতে পারবেন না মুসলিমরা, নয়া ফতোয়া জারি হল হায়দরাবাদে।
[নকশা করা বোরখা পরা যাবে না, মুসলিম মহিলাদের জন্য জারি নয়া ফতোয়া]
স্থানীয় মুসলিম সংগঠন জামিয়া নিজামিয়া এই ফতোয়া জারি করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, চিংড়ি খাওয়াকে সমর্থন করে না ইসলাম। গত পয়লা জানুয়ারি এই ফতোয়া জারি হয়েছে। করেছেন মুফতি মহম্মদ আজিমউদ্দিন, ১৪২ বছরেরও বেশি পুরনো মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য মুফতি। তাঁর মতে, চিংড়ি মোটেও মাছ নয়। ইসলামে একে বলে ‘মাকরুহ তাহরিম’। মুসলিমদের যা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। ইসলামে খাবারের তিনটি ভাগ হয়। হালাল, হারাম ও মাকরুহ। এই ‘মাকরুখ’ খাওয়ার অনুমতি নেই ইসলামে, দাবি মৌলবির।
[গীতাপাঠের ‘অপরাধে’ কিশোরীর বিরুদ্ধে ফতোয়া মুসলিম সংগঠনের]
এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এভাবে একের পর এক বিষয়ে ফতোয়া জারি করে কোথাও কি সমর্থন হারাচ্ছেন না মৌলবিরা? কোথাও কি আরও কয়েকশো বছর পিছিয়ে যাচ্ছে না সভ্যতা-সংস্কৃতি? কয়েকদিন আগেই এক নাবালিকার গীতাপাঠের উপর ফতোয়া জারি করেন মৌলবিরা। বলে দেন, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও বন্দনা ইসলামে স্বীকৃত নয়। দারুল উলুম দেওবন্দ নামের একটি সংগঠনের এই বিষয়ে ‘সুনাম’ রয়েছে। তারা না জানি কী কী বিষয়ের উপর ফতোয়া জারি করেছে। তাদের সর্বশেষ ফতোয়া ডিজাইনার বোরখার উপরে। হিজাবের নামে স্লিম ফিট ডিজাইনার পোশাক আদতে ইসলামের চোখে হারাম, জানিয়ে দেয় সংগঠনের সাহারনপুরের ইউনিট। নিউ ইয়ার সেলিব্রেশনের উপরেও এই সংগঠনই ফতোয়া জারি করে। আর এবার কোপ পড়ল এ দেশের বাঙালির সাধের চিংড়ির উপরেও।