সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জনপ্রিয় নেতা মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা গ্রেপ্তার। মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার কিলার গ্রুপের প্রধান নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) সদস্যরা। তার কাছ থেকে দেশি-বিদেশি কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে, রাজবাড়ি শ্রমিক লিগের সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ মহাজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবদুল আজিজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। রাত ১টা নাগাদ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
রবিবার রাতে কক্সবাজারের (Cox’s Bazar) উখিয়া উপজেলার কুতুপালং থেকে নুর কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটলিয়নের সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহম্মদ আবু সালাম চৌধুরী জানান, সমিউদ্দিন মহিবুল্লাহ হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সমন্বয়কারী এবং ঘটনার সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, রবিবার রাতে রোহিঙ্গা (Rohingya) নেতা মহিবুল্লাহ হত্যার মামলার আসামি নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দিন কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের একটি গোপন আস্তানায় রয়েছে – এমন খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়।
[আরও পড়ুন: ফেজ পরে দুর্গাপুজোর আয়োজন, বাংলার এই গ্রামে সম্প্রীতির নজির]
আরসার কিলার গ্রুপের প্রধান নুর কামালের গোপন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে দেশি-বিদেশি কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের পৃথক একাধিক দল আরসা সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান শেষে সোমবার কক্সবাজারে র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরসা নেতা নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার ব্যাপারে জানানো হয়।
[আরও পড়ুন: ‘বড় ভুল হবে’, গাজা হামলার ছক নিয়ে ইজরায়েলের ‘বিরোধিতা’ বাইডেনের!]
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে নিজ কার্যালয়ে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটসের সভাপতি মাস্টার মহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। এরপর মহিবুল্লাহর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস করছেন। উখিয়া থানা পুলিশ ২০২২ সালের ১৩ জুন ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনি-সহ আরও সাতজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বর্তমানে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মহিবুল্লাহ হত্যা মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।