সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে চাবি দিয়ে অফিসে গিয়েছেন। চাবিটা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখেছেনও। অথচ কিছু সময় পরেই আর মনে করতে পারছেন চাবিটা কোথায় রেখেছেন। এই রকম ভুলে যাওয়ার সমস্যা অনেকেরই আছে। সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। যা ক্রমে আকার নেয় ভয়াবহ স্মৃতিভ্রংশ অসুখের। কিন্তু কানাডায় (Canada) ঘটছে এর ঠিক উলটোটা। সে দেশে ‘রহস্যজনক’ এক মস্তিস্কের রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তরুণরা। অল্প বয়সেই চেপে বসছে বিস্মৃতি!
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা এই ‘রহস্যজনক’ রোগে ভুগছেন তাঁদের মধ্যে স্মৃতি হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি দৃষ্টিভ্রম, পেশির সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। এমনকী নানারকম অস্বাভাবিক আচরণও করছেন তাঁরা। এই অসুখের দেখা ২০১৫ সালেও মিলেছিল। সে সময়ও রোগীদের মধ্যে এইরকম লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। এবার নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই অসুখ।
জানা যাচ্ছে, এই ‘রহস্যময়’ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দুশো ছাড়িয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হল এই রোগে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই তরুণ। যদিও তাঁদের অনেকের মধ্যেই ডিমেনশিয়া বা অন্য কোনও স্নায়ুর অসুখের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ফুকুসিমা থেকে বেরবে ‘হলাহল’, তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচতে নুন মজুত করছে দক্ষিণ কোরিয়া!]
ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, গ্রাম্য এলাকায় কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে এই রোগ হতে পারে। জানা গিয়েছে, গ্লাইফোসেট নামক এক আগাছানাশকও এর কারণ হতে পারে।
চিন্তার বিষয়, ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এই ‘রহস্যময়’ রোগের আসল কারণ ধরতে পারছেন না। তবে অনেকে আবার মনে করছেন, করোনার প্রকোপে ইমিউনিটি কমে যাওয়ার জন্যই এই ধরনের রোগ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে।
গত মার্চে কয়েকজন রোগী ও তাঁদের পরিবার এই ‘রহস্যজনক’ রোগ নিয়ে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কাছে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, এটা কী ধরনের রোগ এবং এর উৎসই বা কী। এই অজানা রোগে কেন তরুণরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন? নেপথ্যে কোন রহস্য রয়েছে? এই প্রশ্নগুলিই এখন ভয় ধরাচ্ছে কানাডাবাসীর মনে। আর তাই তাঁরা চাইছেন অজানা এই অসুখের প্রকৃতি বুঝে তার মোকাবিলার পথে হাঁটতে।