shono
Advertisement

তিলজলা শিশুখুনে আদৌ তন্ত্রসাধনার যোগ রয়েছে? ধৃতের দাবি ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য

একাধিক জায়গায় খুঁজেও হদিশ মেলেনি অভিযুক্ত তান্ত্রিকের।
Posted: 09:00 AM Mar 29, 2023Updated: 09:00 AM Mar 29, 2023

স্টাফ রিপোর্টার: তিলজলা শিশুখুনে আদৌ তন্ত্রসাধনার যোগ রয়েছে? নাকি অভিযুক্ত মনগড়া গল্প বলছে? যে তান্ত্রিকের কথা ধৃত অলোক বলেছে তাঁর অস্তিত্ব নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন লালবাজার গোয়েন্দারা।

Advertisement

তান্ত্রিকের নির্দেশমতো সন্তানলাভের আশায় তিলজলার শিশুকন‌্যাকে খুন করেছে বলে অভিযুক্ত জানিয়েছে। নিমতলা ঘাটেই নাকি ওই তান্ত্রিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। তান্ত্রিকই শিশুটিকে নবরাত্রির মধ্যে বলি দিতে বলেছিল। ধৃতের বয়ানের সূত্র ধরে মঙ্গলবার তদন্তকারী টিম নিমতলা ঘাটে অভিযুক্ত তান্ত্রিকের খোঁজ করেন। সেখানে থাকা তান্ত্রিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু অলোকের বর্ণনা দেওয়া তান্ত্রিকের সন্ধান মেলেনি। এমনকী, যে নাম বলা হয়েছে ওই নামের কোনও তান্ত্রিক নিমতলা ঘাটে নেই বলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে। নিমতলার পাশাপাশি কলকাতার প্রতিটি ঘাট ও শশ্মান যেখানে তন্ত্রসাধনা করা হয়ে থাকে সেখানে খোঁজ চালানো হয়।

[আরও পড়ুন: শিলাবৃষ্টি ও ভারী তুষারপাতের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি ফুলের কুঁড়ির, প্রশ্নের মুখে রডোডেনড্রন উৎসব]

লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃতের দেওয়ার তথ‌্য ধরে তান্ত্রিকের খোঁজ চালানো হচ্ছে। যেখানে তান্ত্রিকের সঙ্গে অলোকের পরিচয় হয়েছিল সেখানে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। কেউ ওই নামে কোনও তান্ত্রিককে চেনেন না বলে জানিয়েছেন। ধৃতের বয়ানেও একাধিক অসংগতি রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে বাস্তবে কোনও তান্ত্রিকের ভূমিকা রয়েছে কি না তা নিয়ে গোয়েন্দারাই সন্দেহ প্রকাশ করছেন। কারণ যে পদ্ধতিতে নরবলি দিতে বলা হয়েছিল তাতে কিছুটা আশ্চর্য লালবাজার গোয়েন্দারা।

সাধারণত দেখা গিয়েছে যে নরবলির শিকার হয়, তাকে প্রতিমার সামনেই বলি দেওয়া হয়। তার শরীরে কোনও খুঁতও থাকা যাবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে তান্ত্রিক অলোককে বলেছিল, আট বছরের মধ্যে বয়স এমন এক শিশুপুত্র বা কন্যাকে নবরাত্রির মধ্যে খুন করে একটু রক্ত বের করলেই হবে। মৃত সেই শিশুর আত্মা সোজা প্রবেশ করবে অলোকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর গর্ভে। তাহলে আর স্ত্রীর গর্ভপাত হবে না। কিন্তু অলোক শিশুটিকে যৌন নির্যাতনও করেছিল। তাহলে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে নরবলির গল্প সাজিয়েছে অভিযুক্ত? নাকি শবসাধনা করতে তান্ত্রিক স্ত্রীর গর্ভপাত রোধের টোপ দিয়ে অলোককে কাজে লাগিয়ে শিশু খুন করায়। কারণ, কোনও তান্ত্রিক ‘সিদ্ধাই’ হতে চাইলে শবসাধনা করে থাকেন। এই সব সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। সেজন‌্য অভিযুক্ত তান্ত্রিককে হাতে পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। সূত্রে খবর, শহরে কত তান্ত্রিক রয়েছে এবং তাঁদের আখড়া কোথায় তার একটি তালিকা তৈরি করছে লালবাজার। তারাপীঠেও পুলিশের একটি টিম তান্ত্রিকের খোঁজ চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: মিলল না জামিন, কম্বল কাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement