সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবারই অভিভাবক হারিয়েছে ‘সিনে শহর’। মিডিয়া টাইকুন রামোজি রাওয়ের (Ramoji Rao) প্রয়াণে শোকাহত গোটা দেশ। রবিবার হায়দরাবাদে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল তাঁর শেষকৃত্য। তাঁর স্বপ্নের ফিল্ম সিটিতেই পঞ্চভূতে বিলীন হলেন রাও সাহেব। তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক এবং বিনোদুনিয়ার ব্যক্তিত্বরা। শেষযাত্রায় তাঁর নশ্বর দেহকে কাঁধ দিলেন টিডিপি প্রধান এন চন্দ্রবাবু নায়ডু (N Chandrababu Naidu)। সেই ছবিই বর্তমানে নেটপাড়ায় দাবানল গতিতে ভাইরাল।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে নায়ডুকে দেখা গেল রামোজি রাওয়ের মরদেহ কাঁধে বয়ে নিয়ে যেতে। তেলুগু দশম পার্টি প্রধানের এহেন আচরণে নেটবাসিন্দারা কুর্নিশ জানিয়েছেন। দুপুরে রামোজি রাওয়ের শেষকৃত্যে সম্পন্ন হওয়ার পরই দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য রওনা হন তিনি। বিকেল নাগাদ পৌঁছেও গিয়েছেন তিনি রাজধানীতে। তবে নায়ডু যখন মোদির শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত, তখন নেটপাড়া তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলার বকেয়া মেটান’, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদিকে আর্জি দেবের]
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রামোজি রাওয়ের স্বাস্থ্যের অবনতির ঘটায় তাঁকে রামোজি ফিল্মসিটিতে তাঁর বাসভবন থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন ইটিভি নেটওয়ার্কের কর্ণধার রামোজি রাও। পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠলে তাঁকে হায়দরাবাদের স্টার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শনিবার ভোরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের ‘রুপার্ট মারডক’। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। রামোজি রাওয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার এবং সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘সবুজ ঘাটাল’ কর্মসূচিতেও সৌজন্য দেবের, শাসক-বিরোধী মিলিয়ে যত ভোট, তত গাছ]
সিনে জগতে রামোজি রাও এক মহীরুহ। নয়ের দশকে হায়দরাবাদে ‘সিনে শহর’ বা ফিল্মসিটির গোড়াপত্তন করেন তিনি। বলিউড, টলিউড-সহ ভারতীয় সিনেমার অন্যতম তীর্থক্ষেত্রে শুটিং হয়েছে ‘বাহুবলী’র মতো বেশ কয়েকটি মেগা বাজেটের সিনেমার। টলিউডের জনপ্রিয় প্রযোজক সংস্থা এভিএফের বহু ছবির শুটিং হয়েছে এই রামোজি ফিল্ম সিটি। সিনেমা নয়, বিভিন্ন ভাষার ধারাবাহিকেরও শুটিং হয়েছে হায়দরাবাদের এই ফিল্ম সিটিতে। শুধু তাই নয়, রামোজি ফিল্মসিটি হায়দরাবাদের অন্যতম জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট। রামোজি রাও একজন ছিলেন খ্য়াতনামা চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং প্রযোজনা সংস্থা উষাকিরণ মুভিজের প্রধান ছিলেন। তিনি জাতীয় পুরস্কার এবং দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও জিতেছিলেন। রবিবার তাঁর সাধের সিনে শহরেই পঞ্চভূতে বিলীন হলেন তিনি।