সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। নবান্নে রাজ্য পুলিশের ডিজি, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন, কোনওরকম অশান্তি, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে যেন আগাম কড়া ব্যবস্থা নেয় পুলিশ প্রশাসন। এবার রাজ্যের সবকটি থানায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে সতর্কবার্তা দিল নবান্ন। বলা হল, এলাকায় কোনও অশান্তির আঁচ পেলেই যেন দ্রুত তা থামিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আর নবান্নের তরফে এই নির্দেশ পেয়েই তৎপর হয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। শুক্রবারই কমিশনারেটের অন্তর্গত ডানকুনি, রিষড়ায় রুট মার্চ করল সিআইএফ। স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তার স্বার্থে এই রুট মার্চকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তার কারণে নবান্ন একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার অশান্তিতে কার্যত জ্বলছে দিল্লি। CAA বিরোধী আবহে এর গুরুত্ব নিঃসন্দেহে অনেকটাই বেশি। ফলে দিল্লিকে দেখে সতর্ক হয়েছে দেশের অন্যান্য প্রান্ত। মুম্বইয়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। সঙ্গে সঙ্গেই এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও প্রশাসনকে অশান্তি দমনের কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার একেবারে কাজ শুরু হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: নোবেলজয়ী বঙ্গসন্তানদের শ্রদ্ধার্ঘ্য, খুলছে অমর্ত্য-অভিজিতের নামাঙ্কিত উদ্যান]
হুগলির রিষড়া ‘মিনি ভারত’ বলে পরিচিত। এখানে ভারতের সমস্ত প্রদেশের মানুষজন বসবাস করেন। দিল্লির ঘটনার পর তাঁদের মনে একটু হলেও ভয় বাসা বেঁধেছিল। কিন্তু এদিনের রুট মার্চ সেই আশঙ্কা অনেকটাই দূর করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা নিজেরাই। তাঁদের অনেকের মতে, এই রুট মার্চ দেখে গোলমাল পাকানো থেকে বিরত থাকবে দুষ্কৃতীরা। এই বিষয়ে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার ডঃ হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের জানান যে তাঁরা নিয়মিত চেকিংয়ের পাশাপাশি নাকা চেকিং করেন। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে পুলিশ যে তাই মানুষের সঙ্গে রয়েছে, সেই ভরসা দেওয়ার জন্যই এই টহল। তিনি এও বলেন, “মানুষ যদি কোনও বিপদে পড়ে বা অসুবিধার মধ্যে পড়ে তাহলে তাঁদের পাশে পুলিশ রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: কলকাতায় অমিত শাহের সফরে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি বামেদের]
পাশাপাশি দিল্লির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত জায়গাতেই সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার। তবে এখানকার মানুষের একে অন্যের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্ক অনেক ভাল। এই সম্প্রীতির আবহে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন চন্দননগরের কমিশনার। দিল্লি পুলিশের ভূমিকায় যখন সেখানকার আমজনতার পুলিশের উপর আস্থা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে, তখন পশ্চিমবঙ্গের ছবিটা ঠিক উলটো। সাধারণ মানুষের ভরসা জোগাতে জেলাজুড়ে রুট মার্চের মধ্য দিয়ে জনসংযোগে নজির সৃষ্টি করেছে বাংলার পুলিশ।
The post দিল্লি থেকে শিক্ষা, অশান্তি দমনে থানাগুলিকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির নির্দেশ নবান্নের appeared first on Sangbad Pratidin.