বিপ্লব চন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ভালবাসা কি আর নিয়ম, রীতি-নীতি মেনে হয়? বর্ধমানের যুবকেরও তা হয়নি। নিজের বউদিকেই ভালবেসে ফেলেছিলেন তিনি। প্রেম প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। আরজি নাকচ হয়ে যায়। প্রত্যাখ্যানের এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি বর্ধমানের যুবক। শোকে ঝাঁপ দেন গঙ্গায়।
যুবকের নাম প্রতীক ধর। বর্ধমান জেলার সুলতানপুরে বাড়ি। রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ নদিয়ার শান্তিপুরের কালনা ঘাটের একটি ভেসেলে ওঠেন প্রতীক। মাঝ গঙ্গায় আচমকা ভেসেল থেকে ঝাঁপ দেন। যুবককে ঝাঁপ দিতে দেখেই মাঝিদের কয়েকজনও গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতীকের নাগাল পেয়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় পাড়ে।
[আরও পড়ুন: ন’বছর পর রেকর্ড ঠান্ডা জানুয়ারিতে, কবে বিদায় নেবে হাড় কাঁপানো শীত?]
স্থানীয়দের প্রাথমিক চিকিৎসার পর সম্বিত ফেরে যুবকের। তখনই জানান, তিনি বর্ধমান থেকে কালনা ঘাটে এসেছেন। প্রতীকের বক্তব্য অনুযায়ী, গত দু’বছর ধরে তিনি বউদিকে ভালবাসেন। বউদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেন। কিন্তু সরাসরি প্রেম প্রস্তাব দিতেই বউদি তা নাকচ করে দেন।
বউদির এমন ব্যবহারে মানসিকভাবে আঘাত পান বলেই দাবি প্রতীকের। মনোকষ্টে নদিয়ার শান্তিুপুরে চলে আসেন। কালনা ঘাটে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মাঝিরা জানান, সাঁতার জানতেন প্রতীক। তাই সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যাননি। সময়মতো কিছু মাঝি ঝাঁপিয়ে পড়াতেই প্রাণ বাঁচানো গিয়েছে যুবককে। তাঁকে পাড়ে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। বর্ধমানের বাড়ির ফোন নম্বর নিয়ে সেখানে ফোন করা হয়। প্রতীকের কীর্তি শুনে হতবাক তাঁর বাড়ির সদস্যরাও। শোনা গিয়েছে, ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বর্ধমান থেকে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। পরিবারের সদস্যরা না আসা পর্যন্ত প্রতীককে নজরে রাখা হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।