সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলে (Israel) গত চার বছরের মধ্যে পঞ্চমবার ভোটের দামামা বাজতে চলেছে। কিন্তু ভোটের আগেই সেদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট (Naftali Bennett) জানিয়ে দিলেন, নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বিতা করবেন না তিনি। তবে ইজরায়েলেরর বিশ্বস্ত সৈনিক হিসাবে আজীবন কাজ করবেন। কিছুদিন আগেই সংসদ ভেঙে দিতে বিল পেশ করে বেনেটের সরকার। সেই বিল পাশ করতে সামান্য দেরি হয় কারণ শেষ মুহুর্তে সরকারের জোট সঙ্গীদের মধ্যে বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে বিবাদ হয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই পাশ হয়ে যেতে পারে বিল। আগামী অক্টোবর মাসেই সেদেশে নির্বাচন হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
বেনেট বলেছেন, “কিছুদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমার সময় শেষ হয়ে যাবে। আগামী নির্বাচনে আর প্রতিদন্দ্বিতা করতে চাই না। তবে ইজরায়েলের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসাবে সব সময় কাজ করব।” সেই সঙ্গে তাঁর দল ইয়ামিনা পার্টির প্রধান পদ থেকেও সরে দাঁড়াবেন বেনেট। সেই জায়গায় দলের প্রধান হবেন ইজরায়েলের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আয়েলেত শাকিদ। খুব সম্ভবত শুক্রবারই নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে ইজরায়েল।
[আরও পড়ুন: তালিবানের সভায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন পুরুষরা!]
সরকারের পতন হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ত্ব সামলাবেন বর্তমান বিদেশমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ (Yair Lapid)। আগামী দিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলিতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অংশ নেবেন লাপিদই। ২০২১ সালে ইজরায়েলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দলই। তখন লাপিদের দল ইয়েশ য়াতিদকে সমর্থন দেন বেনেট। ভিন্ন মতের মোট আটটি দলকে নিয়ে তৈরি হয় কোয়ালিশন সরকার। কিন্তু গত সপ্তাহে জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে ঐক্যমত হতে পারছে না সরকার। এইভাবে প্রশাসন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সরকার ভেঙে দিতে চেয়ে বিল পেশ করা হয় সরকারের তরফ থেকেই।
এর ফলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) ক্ষমতায় ফিরবেন বলেই ধারনা বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নেতানিয়াহুর জয় খুব একটা সহজ হবে না। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর মূল প্রতিদন্দ্বী হবেন লাপিদ। প্রসঙ্গত, ইজরায়েল রাষ্ট্র হিসাবে গঠিত হওয়ার পর থেকেই সেদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা লেগেই রয়েছে। কিন্তু গত চার বছরের মতো এত বেশি রাজনৈতিক ডামাডোল এর আগে কখনও দেখেননি সেদেশের বাসিন্দারা।