সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেবার মণিপুরের (Manipur) কিংবদন্তি বক্সার মেরি কম (Mary Com) অভিযোগ করেন, বিদেশে তাঁকে ভারতীয় বলে মানাই হচ্ছিল না। কারণ তাঁর মঙ্গোলীয় চেহারা। শুধু বিদেশ কেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের ছেলেমেয়েরা অভিযোগ করে থাকেন, ভিনরাজ্যেও তাঁদের চেহারা নিয়ে রসিকতা করা হয়। কারো কাছে ‘নেপালী’, কেউ বা বলেন ‘চিনা’। এইসব নিম্নরুচির কটাক্ষের জব্বর জবাব দিলেন নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মন্ত্রী তেমজেন ইমনা অলং (Temjen Imna Along)। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমজেনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে তিনি জানান, ‘ছোট চোখ’ থাকার বড়সড় উপকারিতার কথা।
তেমজেন ইমনা নাগাল্যান্ডের উচ্চ শিক্ষা ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী। আদ্যন্ত রসিক মানুষ। শনিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটান নিজের বক্তব্যে। বলেন, “উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের চোখ ছোট, কিন্তু দৃষ্টি তীক্ষ্ণ।” এখানেই থেমে না থেকে নিজের এলাকার মানুষের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করেন, বর্ণবিদ্বেষের যোগ্য জবাব দেন। মজাচ্ছলে বলেন, “চোখ ছোট হওয়ার কারণে কোনও বড় অনুষ্ঠান চলার সময় উত্তর-পূর্বের বাসিন্দারা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। কেউ বুঝতে পারেন না।” মন্ত্রী আরও বলেন, “আমার চোখে ময়লা ঢুকতে পারে না, যেহেতু আমার চোখ ছোট। তাছাড়া দীর্ঘ অনুষ্ঠানে আমি সহজেই ঘুমিয়েও নিতে পারি।”
[আরও পড়ুন: ‘কালী’ বিতর্কের মাঝেই শিব ও দুর্গা সেজে অভিনব প্রতিবাদ অসমে, গ্রেপ্তার ১]
তেমজেনের এই বক্তব্যের ভিডিও টুইট করেন এক টুইটার ব্যবহারকারী। মুহূর্তে যা ভাইরাল হয়। অসংখ্য মানুষ ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। এমনকী তাঁদের অন্যতম অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। সকলেই তেমজেনের রসবোধের প্রশংসা করেন। এক নেটিজেনের মন্তব্য, তেমজেনের ‘প্রেসেন্স অব মাইন্ড’ বা উপস্থিত বুদ্ধি অসামান্য। বহু মানুষের বক্তব্য, আসলে ঘুরিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের প্রতি বাকি ভারতের বর্ণবিদ্বেষের জবাব দিয়েছেন নাগাল্যান্ডের মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পদ, এখন ল্যাঙ্কারশায়ারের রাস্তায় চাকরি খুঁজছেন ‘বেকার’ বরিস!]
মন্ত্রী তেমজেন ইমনা অলং নিজেও ভিডিওটি রিটুইট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেই ব্যক্তিকে, যিনি ভিডিওটি প্রথমবার টুইট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। উল্লেখ্য, তেমজেন ইমনা নাগাল্যান্ডের উচ্চ শিক্ষা ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী তো বটেই, এইসঙ্গে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকেই নাগাল্যান্ড বিজেপির রাজ্য সভাপতিও বটে। ২০১৮ সালে বিধায়ক হন। এরপরই রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী।