সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিঙ্ঘু-টিকরি-গাজিপুর সীমানাকে ‘কার্যত’ দুর্গে পরিণত করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। রাস্তায় সিমেন্ট ঢেলে গেঁথে দেওয়া হয়েছে পেরেক। সঙ্গে উঁচু কংক্রিটের বাধা। রয়েছে বোল্ডার-ব্যারিকেডও (Barricades)। বন্ধ দিল্লিমুখী রাস্তা। কৃষক আন্দোলনকে (Farmers protest) রুখতেই এমন কড়া পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, আগেই বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ জল সরবরাহও।
এমন কড়া সতর্কতার ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইন্টারনেটে। প্রশ্ন উঠছে, এই ছবি কি দেশের সীমান্তের? এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে তিনি কটাক্ষ করে ভারত সরকারের কাছে আরজি জানান, দেওয়াল না বানিয়ে সেতু বানাক কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: দেশে করোনার সংক্রমণ কমছে হু হু করে, একধাক্কায় অনেকটা নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ]
মঙ্গলবারই দিল্লি সীমান্তের কৃষক বিক্ষোভ ৬৯ দিনে পা দিয়েছে। সাধারণতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর মিছিলের হিংসার পরে নতুন মোড় নিচ্ছে আন্দোলন। আগামী শনিবার ৩ ঘণ্টার জন্য দেশের সব হাইওয়ে ও সড়ক অবরোধ তথা ‘চাক্কা জ্যাম’-এর ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকদের সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে নতুন কোনও মিছিল যাতে বিক্ষোভের অবস্থানস্থল থেকে বের না করা হয়, সেই উদ্দেশ্যেই এমন পদক্ষেপ দিল্লি পুলিশের। সোমবারই দেখা গিয়েছে সিঙ্ঘু সীমান্তে দু’টি সিমেন্টের ব্যারিকেডকে লোহার রড দিয়ে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। জায়গাটি সিঙ্ঘু সীমান্তের একেবারে গায়েই। পাশাপাশি গাজিপুর সীমান্তে রীতিমতো ড্রোনের নজরদারিতে তৈরি করা হচ্ছে ব্যারিকেড। একই ভাবে টিকরি সীমান্তেও বহুস্তরীয় ব্যারিকেড তৈরি করতে দেখা গিয়েছে। রাস্তায় পোঁতা হয়েছে পেরেক। সব মিলিয়ে রীতিমতো রণব্যস্ততা।
গত ২৬ জানুয়ারির মিছিলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। অনুমতি ছাড়াই লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে কৃষকরাও। এখনও পর্যন্ত ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত দীপ সিধুকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। দীপ নিজে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন, শিগগিরি প্রশাসনের সামনে আসবেন তিনি।