শুভঙ্কর বসু: আবেদন সত্ত্বেও অন্য বেঞ্চে সরল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চেই ওই মামলার ক্রমতালিকা নির্ধারিত হয়েছে। এই ক্রমতালিকা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ওই বিচারপতির বেঞ্চেই নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিচারপতি কৌশিক চন্দর বেঞ্চ থেকে মামলাটি সরানোর আরজি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। এই মর্মে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও ওই বিচারপতির বেঞ্চেই মামলা রাখা হয়েছে বলে বুধবার রাতে দেখা গেল।
নন্দীগ্রামের (Nandigram) নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন। কিন্তু সেই মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে কেন? প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে আইনজীবীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর মামলা যে বিচারপতির এজলাসে দেওয়া হয়েছে, সেই কৌশিক চন্দ আগে বিজেপির ‘সক্রিয় সদস্য’ ছিলেন। তাই তাঁর এজলাসে নন্দীগ্রাম মামলা উঠলে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ড: গ্রেপ্তার না করলে দেশে ফিরতে রাজি বিনয়, CBI-এর মত জানতে চাইল হাই কোর্ট]
ঘটনাচক্রে গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর করা মামলার শুনানি হয়নি। তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়। বিচারপতি চন্দ জানিয়েছিলেন, এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। সেদিন মামলাকারী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। তৃণমূল নেতাদের একাংশের দাবি, বিচারপতি চন্দ আইনজীবী হিসেবে বিজেপির হয়ে বহু মামলা লড়েছেন। মমতা সরকারের ইমাম ভাতা চালুর বিরোধিতা করা থেকে শুরু করে অমিত শাহর সভার অনুমতি নিয়ে জটিলতার মতো মামলায় বিজেপির পক্ষ নিয়ে লড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাই তাঁর এজলাস থেকে মামলা সরানোর আবেদন জানানো হয়েছিল।