প্রিয়ক মিত্র: ১৯৮৪ সালে, ‘নান্দীকার’-এর জাতীয় নাট্য উৎসব শুরুর ইস্তাহারে লিখেছিলেন শঙ্খ ঘোষ, দেশের থিয়েটার মানচিত্রে এই আয়োজনের তাৎপর্য কী হতে পারে। শুরু থেকেই এই উৎসবে নানা রাজ্যের নানা নাট্যআঙ্গিক মিলেমিশে গিয়েছে। এই বছর ৪০তম জাতীয় নাট্য উৎসবের আয়োজন করতে চলেছে এই ঐতিহ্যবাহী নাট্যদল। ১৬ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এবং রবীন্দ্র সদনে চলবে এই নাট্যোৎসব। ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে উৎসব শুরু হচ্ছে অরুণ মুখোপাধ্যায় নির্দেশিত ‘চেতনা’-র ‘মারীচ সংবাদ’ দিয়ে।
সেদিন সন্ধে ৫টা ৪৫-এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তকে সম্মান জ্ঞাপন, তারপর মঞ্চস্থ হবে দেবাশিস নির্দেশিত ‘রাবণ রিলোডেড’, এবং সাড়ে ৬টা থেকে সুমন মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় ‘মুখোমুখি’-র ‘আজকের শাজাহান’। ‘নান্দীকার’-এর ‘পাঞ্চজন্য’, ‘এক থেকে বারো’, ‘মানুষ’, ‘মাধবী’ ছাড়াও এই উৎসবে থাকছে তাদের ‘চিলড্রেনস অনসম্বল’-এর ‘লক্ষ্ণণের শক্তিশেল’, ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ এবং ‘পদিপিসির বর্মিবাক্স’। থাকছে ‘চেতনা’-র ‘মহাত্মা বনাম গান্ধী’, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় ‘ব্যারিকেড’, দেবাশিসের নির্দেশনায় ‘অন্য থিয়েটার’-এর ‘প্রথম রাজনৈতিক হত্যা’, অবন্তী চক্রবর্তীর নির্দেশনায় ‘বিনোদিনী অপেরা’, ‘ইচ্ছেমতো’-র ‘কিত্তনখোলা’, ‘নয়ে নাটুয়া’-র ‘মিতালী’। বাংলার বাইরে থেকে রয়েছে এলাহাবাদের ‘ব্যাকস্টেজ’-এর ‘খাড়ু কা খাড়া কিস্সা’, জয়পুরের ‘উজাগর ড্রামাটিক অ্যাসোসিয়েশন’-এর ‘হামকারো’, লাকিজি গুপ্তার ‘মা মুঝে টেগোর বানা দে’।
[আরও পড়ুন: দাদুর সামনেই সুহানার হাতে হাত অগস্ত্যার, নাতবউ হিসেবে শাহরুখকন্যাকে গ্রিন সিগনাল বিগ বির?]
সোহিনী সেনগুপ্ত বলছেন, ‘প্রতি বছর ফেস্টিভ্যালের সময়টাই মনে হয় পরীক্ষায় বসছি। আর্থিক সংগতি ছাড়াই এইরকম একটা আয়োজনে ঝঁাপিয়ে পড়া তো মুখের কথা নয়। কিন্তু এই ফেস্টিভ্যাল কিছু না কিছু ফিরিয়ে দেয়ই। তার মধ্যে নানাভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানুষের মুখ যেমন আছে, মুহূর্তও আছে অনেক। বাবা-মা (রুদ্রপ্রসাদ ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত) যেভাবে থিয়েটারকে সবকিছুর ওপর রাখত, আমি সেই ধারাটাই বজায় রাখতে চাইছি।’