অভিরূপ দাস: ভেন্টিলেশনে নারায়ণ দেবনাথ (Narayan Debnath)। অত্যন্ত সংকটজনক তাঁর শারীরিক অবস্থা। বার বার ফুসফুসে জল জমে যাচ্ছে। মূত্রনালিতে সংক্রমণ রয়েছে। সোডিয়াম ও পটাশিয়াম লেভেলও আশাজনক নয়। এমনটাই জানিয়েছেন প্রবীণ শিল্পীর ছেলে তাপস দেবনাথ।
গত বছর ২৪ ডিসেম্বর থেকে কলকাতার মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য তৈরি হয়েছে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল। ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বিশেষজ্ঞ সমরজিৎ নস্কর-সহ ছ’জনের এই টিম সারাক্ষণ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। শনিবার রাত ৯.১৫ নাগাদ শিল্পীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: কালিম্পংয়ে ফাঁস হবে মাদকচক্রের কাণ্ডকারখানা! নতুন সিরিজে চমক দেবেন কৌশিক, সব্যসাচী, মধুমিতা]
পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের চিকিৎসার দায়িত্ব আগেই নিয়েছিল রাজ্য। গত ১৩ জানুয়ারি প্রবীণ শিল্পীর সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেন মন্ত্রী অরূপ রায়। সেখানেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় পদ্মশ্রী সম্মান। হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী অবস্থাতেই তিনি তা গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরও জানুয়ারি মাসে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল নারায়ণবাবুকে। সে সময় তাঁর স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিকের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় কাগজ-কলম। বলা হয়, তাঁর কোনও সৃষ্টি ফুটিয়ে তুলতে। কাগজ কলম পেয়ে এক মুহূর্তও অপেক্ষা করেননি তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সাদা কাগজে ফুটিয়ে তোলেন বাঁটুলকে। ‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘নন্টে ফন্টে’, ‘বাহাদুর বেড়াল’, ‘ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু’র মতো বিখ্যাত কার্টুন চরিত্রের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ। ২০১৩ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। গতবছর পান পদ্মশ্রী সম্মান। প্রবীণ শিল্পীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত অনুরাগীরা। তাঁর আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করছেন তাঁরা।