নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তৃতীয়বার এনডিএ (NDA) সরকার। আর সেই নবনির্বাচিত সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আজ সংসদে শুরু হল ১৮ তম অধিবেশন। সকাল ১০টা নাগাদ প্রোটেম স্পিকার হিসেবে বিজেপির ভতৃহরি মহতাবকে শপথ পড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রোটেম স্পিকারই আপাতত লোকসভার কাজ চালাবেন। নতুন সংসদ ভবনে সোম ও মঙ্গলবার সাংসদদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। এদিন সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। অধিবেশনের শুরুতেই সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী মোদি ১৮-র গুরুত্ব বোঝালেন। নতুন সংসদ ভবনে (New Parliament House) তৃতীয়বার সরকার চালাতে প্রতিশ্রুতি দিলেন। বার্তা দিলেন বিরোধীদের।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নয়, তৃতীয়বার জোটসঙ্গীদের উপর ভর করে দেশের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ফের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। সোমবার থেকে ১৮ তম সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছে। লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশ (Lok Sabha Election Result 2024) ও সরকার গঠনের মাঝেই দেশে NEET, NET-সহ একাধিক সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা নিয়ে কেলেঙ্কারি, রেল দুর্ঘটনার মতো বড় কয়েকটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তার জের প্রথম দিন থেকেই অধিবেশনে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিরোধীরা এনিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে প্রস্তুত।
[আরও পডুন: দক্ষিণবঙ্গে অধরা বর্ষা, জুনে বৃষ্টির ঘাটতি! আশঙ্কার কথা শোনাল হাওয়া অফিস]
তাই শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা, ''আমরা চাই, বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে। গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য বিরোধীদের শক্তিশালী হওয়া খুব প্রয়োজন। আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের কাজে সাহায্য করবে। সংসদে স্লোগান নয়, মতামত চাই।'' প্রতিশ্রুতি দিলেন, ''বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণের জন্য আমাদের সকলর দায়িত্ব রয়েছে। আমরা পরিশ্রমে কোনও খামতি রাখব না। তৃতীয়বার দেশ চালাতে গিয়ে আমরা তিনগুণ বেশি পরিশ্রম করব।'' আঠেরোর গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মোদি বলেন, ''১৮ তম লোকসভা অনেক দিক থেকে বৈচিত্র্যময়। যুব সাংসদদের সংখ্যা বেশি। গীতায় ১৮টি অধ্যায় রয়েছে। পুরাণ-উপপুরাণের সংখ্যাও ১৮। ১৮ বছর বয়সে আমরা সাবালক হই, ভোটদানের অধিকার পাওয়া যায়। আবার ১৮-র অর্ধেক ৯। ৯ হল দুই অঙ্কের ঠিক আগের ধাপ। এসব সংখ্যার অনেক গুরুত্ব।''
[আরও পডুন: প্রশ্নফাঁস থেকে কোটি কোটির লেনদেন! ভয় ধরাচ্ছে ডার্ক ওয়েব, কী লুকিয়ে অন্ধকারে?]
এদিন মোদির ভাষণে উঠে এল জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ। ২৫ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবারের দিনটির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ''সংসদকে যাঁরা সম্মান করেন, তাঁরা দিনটি ভুলতে পারবেন না। ২৫ জুন সংবিধানের যে কালো দাগ লেগেছিল, তার ৫০ বছর পূরণ হবে আগামিকাল। আমরা গৌরবের সঙ্গে সংবিধানকে রক্ষা করতে পেরেছি। দেশবাসী সংকল্প নেবে যে ভবিষ্যতে কেউ আর এই কালো দিন আনার সাহস দেখাতে পারবে না। আমরা জনগণের স্বপ্ন পূরণে সংকল্পবদ্ধ।''