সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘‘আপনাদের মনে হতে পারে আলু, আমরা বলব মঙ্গলের (Mars) চাঁদ।’’ লালগ্রহের বৃহত্তম উপগ্রহ ফোবোসের (Phobos) এক অতিকায় ছবি শেয়ার করে এমনটাই জানাল মার্কিন মহাকাশ সংস্থা NASA। মাত্র ৬ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূর থেকে তোলা এই ছবিতে স্পষ্ট ধরা পড়েছে ফোবোসের পৃষ্ঠের গর্তগুলিও।
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্সের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছিল মার্কিন মহাকাশযান। এরপর রোভারটি মঙ্গলে নেমে পড়ার পরও তার কক্ষপথে চক্কর কাটছে মার্কিন অর্বিটার। আর তার মধ্যে রাখা UAHiRISE ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে ফোবোসের প্রায় ক্লোজ আপ এই ছবি।
নাসা তাদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে শেয়ার করেছে ফোবোসের ওই ছবি। যা দেখে মুগ্ধ মহাকাশপ্রেমীরা। নাসা তাদের পোস্টে জানিয়েছে, ফোবোসের গায়ের ওই খাঁজের দাগ থেকে পরিষ্কার, মঙ্গল ও তার মধ্যে চলতে থাকা অভিকর্ষীয় আকর্ষণ বলের কারণেই তা সৃষ্টি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভূগর্ভ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে গনগনে কাদার তাল! কাস্পিয়ান সাগরের নয়া আতঙ্ক Mud Volcano]
পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ১৮৭৭ সালে মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যাসাফ হল ফোবোসকে আবিষ্কার করেন। মনে করা হয়, এটি আসলে গ্রহাণু। মঙ্গলের কক্ষে ঢুকে পড়ে আর বেরতে না পেরে উপগ্রহ হয়ে গিয়েছে। ফোবোস ছাড়াও মঙ্গলের আরেক চাঁদের নাম ডিমোস। প্রাচীন গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী দেবতা অ্যারেসের যমজ সন্তান ডিমোস ও ফোবোসের নামানুসারে মঙ্গলের দুই উপগ্রহের নাম দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ফোবোসের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তাও জানিয়েছে নাসা। নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলের প্রবল অভিকর্ষীয় টানের ফলে ধীরে ধীরে গ্রহটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ফোবোস। প্রতি ১০০ বছরে সে এগচ্ছে ১.৮ মিটার বা ৬ ফুটের মতো। এর ফলে ৫ কোটি বছরের মধ্যে হয় ফোবোস আছড়ে পড়বে মঙ্গলের মাটিতে। নতুবা নিজেই ভেঙে চূর্ণ হয়ে যাবে শূন্যে।