সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেসরকারি উদ্যোগে মহাকাশযাত্রা এখন আর নতুন নয়। সংস্থার তালিকায় অনেক নাম – ভার্জিন গ্যালাক্টিক, Space X, ব্লু অরিজিন, নর্থপ গ্রুম্যান, আরও কত। বিশ্বের বৃহত্তম মহকাশ সংস্থা নাসা (NASA) পর্যন্ত এসব সংস্থার কাজে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, উৎসাহও দিচ্ছে। মহাকাশে যাওয়ার জন্য আর সে অর্থে ‘মহাকাশবিজ্ঞানী’ বা Astronaut-এর তকমা পাওয়া আবশ্যক নয়। এবার নাসাই মঙ্গলে (Mars) অভিযানের জন্য আগ্রহীদের আবেদন চেয়ে পাঠাল। মঙ্গলের মতো পরিবেশ কৃত্রিমভাবে তৈরি করে সেখানেই রাখা হবে আগ্রহীদের। সেভাবেই তাঁরা অভ্যস্ত হবেন, এমনই খবর নাসা সূত্রে।
প্রকল্পের নাম – Mars Dune Alpha। নাসার অধীনে ১৭০০ বর্গফুটের মধ্যে মঙ্গলের পরিবেশ তৈরি হবে। হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে থ্রি ডি পেন্টিংয়ের সাহায্যে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম পরিবেশ। নাসার তরফে বলা হচ্ছে, ”বাস্তব যদি কখনও মঙ্গলে যেতে হয়, তাহলে কীভাবে থাকবেন, কতদিন থাকতে পারবেন, সেসবের প্রস্তুতি সেরে নিতেই এই প্রকল্প। পৃথিবীর চেয়ে ভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে কে কতটা মানিয়ে নিতে পারে, তা বোঝা যাবে। মহাকাশচারীদের শারীরিক ও মানসিক জোরও টের পাওয়া যাবে।”
[আরও পড়ুন: ৩ কোটিতে মহাকাশ যাত্রা! শুরু টিকিট বুকিং]
তবে নাসার এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদনের বেশ কিছু শর্ত আছে। তার ভিত্তিতে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে তবেই ‘কৃত্রিম’ মঙ্গলে থাকার সুযোগ পাবেন আবেদনকারীরা। যার মধ্যে অন্যতম আবেদনকারীর ধূমপায়ী (No Smoking habbit) না হওয়া। আবেদনকারীকে আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। ইংরাজি বলায় পটু হওয়া আবশ্যক। আর শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর হতে হবে। অঙ্ক, কম্পিউটার সায়েন্স, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং – এই চারটির মধ্যে যে কোনও একটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে আবেদনকারীর। তবে সেনাবাহিনীতে (Military Training) কর্মরত হলে বা ৪ বছর ধরে মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্নরা ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকলেও আবেদন করতে পারবেন। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে মোট তিন ধাপে এই প্রকল্প কার্যকর করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। Mars Dune Alpha প্রকল্পে কতজন সুযোগ পান, সেটাই এখন দেখার।