shono
Advertisement

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আরও নিখুঁত পূর্বাভাস পেতে এবার হাত মিলিয়ে কাজে নামল নাসা-ইসরো

ইসরো রাডার এবং তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে নাসাকে।
Posted: 05:44 PM May 25, 2021Updated: 06:42 PM May 25, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর (Yaas) আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া গিয়েছে। আর তাতেই দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম এত ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। উপগ্রহ চিত্রের তথ্য বিশ্লেষণ এই কাজের বড় একটা সূত্র। সেই ছবি দেখেই ঝড়ের গতিপথ প্রায় নিখুঁতভাবে বোঝা যায় এবং তার ভিত্তিতেই বিপদ সামলাতে ব্যবস্থা করা হয়। তা সত্ত্বেও মাঝেমধ্যেই উপগ্রহের (Satellite) পাঠানো ছবির অতি সামান্য ভুল বিশ্লেষণেও বড়সড় সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা পুরোপুরি দূর করতে আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজনে এবার হাতে হাত মেলাচ্ছে নাসা-ইসরো। রাডার (Radar) সিস্টেম আরও উন্নত করার দায়িত্ব নাসার, ইসরো তাকে নানা তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে।

Advertisement

নাসা-ইসরো (NASA-ISRO) যৌথ প্রকল্পের পোশাকি নাম – নাসা ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (NISAR)। কী কাজ হবে? এই মুহূর্তে যে উপগ্রহগুলি কাজ করছে অর্থাৎ Earth System Observatory-র অন্তর্গত স্যাটেলাইট বিশ্বের বিভিন্ন দেশকেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। কারণ, গোটা সিস্টেমটা একক। এক্ষেত্রে দেশগুলির কোনও পৃথক অধিকার নেই। এক্ষেত্রে যৌথভাবে সকলে কাজ করে। আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে স্যাটেলাইট মাধ্যমে আরও নিখুঁতভাবে পূর্বাভাস পেতে সিস্টেমটি উন্নয়নের কাজ করছে বিভিন্ন দেশ। ২০১৭ সাল থেকে নাসার গাইডলাইন এবং পর্যবেক্ষণ মেনে তৈরি হয়েছে স্যাটেলাইট সিস্টেম। তাকেই আরও উন্নত করার স্বার্থে এবার নাসার সঙ্গে কাজ করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

[আরও পড়ুন: যাত্রা শুরু, উৎকণ্ঠার শেষে এবার মঙ্গলের মাটিতে চলতে শুরু করল চিনের রোভার]

নাসার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত, ভূমিধসের মতো বহু পরিচিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা থেকে যাচ্ছে। বরফ গলনের ক্ষেত্রেও তাই। এই জটিলতা কাটাতে এই যৌথ মিশন। স্যাটেলাইট ছবি দেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্প NISAR তার প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও বেশি সাহায্য করতে পারবে। ইসরোর তরফে দুটি রাডার দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের প্রতি আধ ইঞ্চিতে কী বদল ঘটবে, তাও বোঝা যাবে। অর্থাৎ কম্পন কিংবা অগ্ন্যুৎপাতের ক্ষেত্রে তা অনেকটা বেশি উপযোগী হতে চলেছে। জলবায়ু বদলের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস আরও ভালভাবে বোঝার জন্য নাসা-ইসরোর এই যৌথ উদ্যোগ।

[আরও পড়ুন: মঙ্গলে বেঁচে অনুজীবীরা? প্রাণের উৎস খুঁজতে এবার জৈব লবণ বিশ্লেষণ বিজ্ঞানীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement