সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশ জগতে খোঁজ মিলল নতুন বাসিন্দার। আমাদের সৌরমণ্ডলীর বাইরে আরও এক গ্রহের সন্ধান পেলেন নাসার (NASA) বিজ্ঞানীরা। আর এই আবিষ্কার নাসার TESS (ট্রানসিট এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট) মিশনের অন্যতম বড় সাফল্য বলে দাবি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার।নতুন গ্রহের যাবতীয় তথ্য তালাশে আপাতত মহা ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।
নাম TOI-561b। সৌরজগতের বাইরে নব আবিষ্কৃত গ্রহের এই নামকরণই করেছেন নাসার TESS মিশনের বিজ্ঞনীরা। গ্রহটি সম্পর্কে প্রাথমিক যেসব তথ্য আপাতত মিলেছে, তা হল, পৃথিবীর চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ বড় এবং তিনগুণ ভারী। কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্যতিক্রমীভাবে তার আহ্নিক গতি পৃথিবীর চেয়ে কম। অর্থাৎ ওই গ্রহ নিজস্ব নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে ২৪ ঘণ্টার কম সময় নেয়। এই চরিত্রের জন্য একে ‘সুপার আর্থ’ (Super Earth) বলে অভিহিত করছেন বিজ্ঞানীরা।
নব আবিষ্কৃত গ্রহ সম্পর্কে আরও জানা গিয়েছে, পৃথিবীর তুলনায় TOI-561b’র জমি পাথুরে এবং রুক্ষ্ম। বলা হচ্ছে, এমন পাথুরে জমি নাকি এর আগে বাইরের কোনও নক্ষত্রমণ্ডলীর অন্তর্গত গ্রহে দেখা যায়নি। তথ্যতালাশ করে নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহটি অন্তত ১৪০০ কোটি বছর আগেকার কোনও ছায়াপথের অংশ। প্রাথমিক কিছু তথ্য জানার পর অবধারিত প্রশ্ন তৈরি হয়, তাহলে কি এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব? সে বিষয়ে অবশ্য হতাশই করছে বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ। বলা হচ্ছে, এত পাথুরে এবং তপ্ত জমিতে কোনও প্রাণধারণ সম্ভব নয়। তবে সবই এত নেতিবাচক নয়। নব আবিষ্কৃত গ্রহ সম্পর্কে নানা পর্যবেক্ষণে বিস্ময় বাড়ছে বিজ্ঞানীদের। হয়ত মহাকাশ জগতে নতুন অধ্যায় শুরু হবে এই TOI-561b’র হাত ধরেই।