অর্ণব আইচ: রাজ্যজুড়ে রমরমিয়ে চলছে মাদক কারবার। আবারও নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর জালে ধরা পড়ল এক মাদক পাচারকারী। ধৃত ইমদাদুল শেখ, মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা। মাদক পাচারের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তদন্তকারীদের দাবি, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি কলকাতার একাধিক এলাকায় মাদক পাচার করত সে।
[মুর্শিদাবাদে কী করে মাদক পাচার করে চিনারা? পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী]
মঙ্গলবার ভোররাতে এই মাদক পাচার করছিল ইমদাদুল হক। উমরপুর-লালগোলা লিংক রোডের সামনেই চলছিল পাচারের কাজ। এদিকে, এই খবর পৌঁছায় এনসিবির কাছেও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় হানা দেন এনসিবি কর্তারা। মাদক দেওয়া নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় ইমদাদুল। তদন্তকারীদের দাবি, ওই মাদক ইমদাদুল পাচার করতে পারলে মুর্শিদাবাদের লালগোলা হয়ে তা সোজা পৌঁছে যেত কলকাতায়। কিন্তু তার আগেই গ্রেপ্তার হয়ে যায় ইমদাদুল। ধৃতের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে চারশো গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
[গোপনাঙ্গে লুকিয়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচারের চেষ্টা, বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার নাইজেরিয় মহিলা]
ইমদাদুলকে দফায় দফায় জেরা করেন তদন্তকারীরা। জেরায় সে জানিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তেই রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা। বিশেষত সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতেই এই পাচার চক্র খুবই সক্রিয়। মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করত সে। এরপর তা ছড়িয়ে দেওয়া হত লালগোলা-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়। শুধু মুর্শিদাবাদই নয়, কলকাতাতেও মাদক পাচার করত ইমদাদুল। মাদক পাচারের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকাও চলে আসত তার পকেটে।
[চিনা মাদক পাচারকারীদের জেরা করতে শহরে মার্কিন গোয়েন্দারা]
তবে কার কার কাছে ইমদাদুল মাদক বিক্রি করত, সে বিষয়ে কিছুই জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। ইমদাদুলের সঙ্গে কোন কোন মাদক পাচারকারীর যোগসাজশ ছিল, তারও খোঁজ চালাচ্ছেন এনসিবি কর্তারা।
[মাদক পাচারকারী এক ডজন নাইজেরীয়র খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা]
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে কলকাতায় নিষিদ্ধ মাদক-সহ পাঁচ চিনা পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মাদক পাচার নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ প্রশাসনের উদাসীন ভূমিকার সুযোগেই যে এহেন চোরাকারবারীর রমরমা তাও বুঝিয়ে দেন তিনি। তারপরও আবারও মুর্শিদাবাদ থেকেই মাদক পাচারকারীর গ্রেপ্তারির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।