সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে ফের চিনকে (China) খোঁচা আমেরিকার। এই মহামারীর উৎস সন্ধানে বেজিংয়ের থেকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও আরও তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সহযোগিতা চেয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ‘টিকাকরণ মারাত্মক ভুল, এতে শক্তি বাড়ছে করোনার,’ বিস্ফোরক নোবেলজয়ী ভাইরোলজিস্ট]
মঙ্গলবার করোনা মোকাবিলায় হোয়াইট হাউসের প্রবীণ উপদেষ্টা অ্যান্ডি স্লাভিত বলেন, “এই গোটা ঘটনার গোড়ায় যেতে হবে। ভাইরাসটির উৎস সন্ধানে চিন থেকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতার প্রয়োজন। তবে এমনটা আদৌ হচ্ছে বলে আমরা মনে করি না।” একই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফাউচি বলেন, “আমরা মনে করি এই বিষয়ে (করনার ভাইরাসের উৎস) তদন্ত চলয়ে যাওয়া উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তের পর এবার পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়ার সময় এসেছে। কারণ ভাইরাসটির উৎস নিয়ে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই তদন্ত চালিয়ে যাওয়া জরুরি।”
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর জন্য সরাসরি চিনকেই দায়ী করেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমিউনিস্ট দেশটির একটি গবেষণাগার থেকেই করোনা ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তবে পরবর্তীতে ইউহানে তদন্ত চালিয়ে বেজিংকে ক্লিনচিট দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও এই রায় মানতে নারাজ আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। কয়েকদিন আগে চিনেরই এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ (Virologist) ফের অভিযোগ করেন, লালফৌজের গবেষণাগার থেকে জীবাণুযুদ্ধের মহড়া হিসেবেই ওই মারণ ভাইরাস পরিবেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, উহানের বাজার নয়, লালফৌজের গবেষণাগারেই বিশ্বত্রাস হয়ে ওঠা কোভিড-১৯ ভাইরাসের জন্ম, একথা লি-মেং ইয়ান কীসের ভিত্তিতে বলছেন। এর উত্তরে ওই চিনা বিজ্ঞানীর সাফ বলেছিলেন, “গত জানুয়ারি থেকেই ইউটিউবের মাধ্যমে আমি সকলকে জানাতে শুরু করেছিলাম যে পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-র গবেষণাগারেই জন্ম এই ভাইরাসের। ইচ্ছাকৃত ভাবেই তা ছড়ানো হয়েছিল। চিনের সরকার এটা ভাল করেই জানে।” সব মিলিয়ে করোনার উৎপত্তি নিয়ে চিনের বিরুদ্ধেই আঙুল উঠছে।